নারী উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে সরকার: চুমকি

নারী উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়ে সরকারের সব উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় নারীর ক্ষমতায়নের জন্য অনেক বড় প্রকল্প গ্রহণ করেছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি যৌথভাবে ঢাকার সেগুন বাগিচায় একটি মহিলা ও শিশু ডায়াবেটিক হাসপাতাল স্থাপন করেছে। এ ছাড়া, উত্তরাবাসীর সুবিধার্থে  উত্তরায়ও একটি মহিলা ও শিশু ডায়াবেটিক হাসপাতাল স্থাপন করেছে।’

বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর উত্তরায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে নির্মিত ‘৫০ শয্যাবিশিষ্ট মহিলা ও শিশু ডায়াবেটিস, অ্যান্ডোক্রিন ও ম্যাটবলিক হাসপাতাল’–এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, ‘ডায়াবেটিক একটি নীরব ব্যাধি। আমাদের দেশের মহিলা ও শিশুরা ডায়াবেটিক ঝুঁকিতে রয়েছে। যেকোনও বয়সের মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এক্ষেত্রে সচেতনতার কোনও বিকল্প নেই। তাই ডায়াবেটিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে খাওয়া-দাওয়াসহ চলাফেরা করতে হয়।’

বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক একে আজাদ খানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম, মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের মহাপরিচালক কাজী রওশন আক্তার, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনএইচএন  ডা. এম এ সামাদ প্রমুখ।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম বলেন, ‘কিশোর-কিশোরীরা অজ্ঞতার কারণে অনেক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগে। এই লক্ষে সরকার সারাদেশের সব ইউনিয়নে কিশোর-কিশোরী ক্লাব স্থাপন করার প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এসব ক্লাবে কিশোর-কিশোরীদের বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে এবং বিভিন্ন সামাজিক সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।’

মহিলা ও শিশুদের সুচিকিৎসার নিশ্চিত করতে সরকার পৃথক ডায়াবেটিক হাসপাতাল নির্মাণ করেছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে উত্তরা মডেল টাউনের ৮নং সেক্টরে ৮ দশমিক ৫০ কাঠা জমির ওপর ৫০ শয্যাবিশিষ্ট মহিলা ও শিশু ডায়াবেটিস, অ্যান্ডোক্রিন ও ম্যাটবলিক হাসপাতালের ৭তলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এ হাসপাতাল থেকে প্রতিদিন ৮০০ থেকে ১০০০ মহিলা ও শিশু রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে পারবে।’