২০২০ সালের মধ্যে দেশ থেকে ইটভাটা তুলে দেওয়া উচিত: গণপূর্তমন্ত্রী

ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন (ফাইল ছবি)ইটভাটার ধোঁয়ায় মারাত্মকভাবে বায়ুদূষণ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ ও কৃষি জমি রক্ষায় আগামী ২০২০ সালের মধ্যে দেশ থেকে ইটভাটা তুলে দেওয়া উচিত।’ বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম, বাংলাদেশের (সিডিজেএফবি) আয়োজনে ‘পোড়া ইটের বিকল্প কংক্রিট ব্লক’শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘জমির উপরিভাগের মাটি ব্যবহার করে যেভাবে ইট তৈরি করা হচ্ছে, তাতে কৃষি জমির উর্বরতা কমে যাচ্ছে। পোড়া ইটের ক্ষতি থেকে দেশকে রক্ষা করতে কংক্রিটের ব্যবহার বাড়াতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘পোড়া ইটের বিকল্প হিসেবে ইতোমধ্যে সরকার কংক্রিট ব্লকের ব্যবহার শুরু করেছে। ভাষানচরে রোহিঙ্গা পুনর্বাসনের জন্য যেসব আবাসন করা হচ্ছে, সেসব কংক্রিটের ব্লক দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়া নোয়াখালীতে গণপূর্ত অধিদফতরের ১০টি ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে কংক্রিট ব্লক দিয়ে।’ 

ইটের খোয়ায় নির্মিত সড়কের স্থায়িত্ব অনেক কম উল্লেখ করে গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘কোথাও ইটের খোয়া দিয়ে সড়ক করলে দেখা যায় ৬ মাসের মধ্যে সেগুলো গলে যাচ্ছে অথবা গুঁড়ো হয়ে যাচ্ছে। আর কংক্রিটের ব্লক দিয়ে সড়ক করলে তার স্থায়িত্ব দীর্ঘ হয়। এ কারণে সড়কের টেকসইয়ের জন্য ইটের খোয়ার পরিবর্তে পাথরের খোয়া ব্যবহারের চিন্তা করতে হবে। তবে দেশে পোড়া ইটের বিকল্প হিসেবে কংক্রিটের ব্যবহার বৃদ্ধি করতে পাথর আমদানিতে শুল্ক সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হবে। অন্যথায় মানুষ পাথর ব্যবহারে নিরুৎসাহিত হবে।’

সংগঠনের সভাপতি অমিতোষ পালের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মতিন আব্দুল্লাহর সঞ্চালনায় সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সে’র (বিআইপি) সাধারণ সম্পাদক ড. আদিল মুহাম্মদ খান, কংক্রিট ব্লক বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার আবু সাদেক, প্রকৌশল বিশেষজ্ঞ ম. ইনামুল হক, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) উপ-নগর পরিকল্পনাবিদ হাসিবুল কবির।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে বাংলাদেশ রেডিমিক্স কংক্রিট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রকৌশলী মো. আবদুল আউয়াল।