রাত ১১টার পর ফেসবুক বন্ধের আহ্বান রওশন এরশাদের

রওশন এরশাদ (ফাইল ছবি)তরুণ প্রজন্মকে রক্ষা করতে রাত ১১টার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ। তিনি বলেন, ‘স্মার্টফোন আর ইন্টারনেটের মাত্রারিক্ত ব্যবহার করছে আমাদের ছেলেমেয়েরা। এরা রাতে ঘুমায় না। জেগে জেগে ফেসবুক দেখে। ফেসবুকে আসক্ত হয়ে গেছে। এটি একটি সময়সীমার মধ্যে আনা গেলে ভালো হয়। ১১টার পরে ফেসবুক বন্ধ করতে পারলে পড়াশোনায় মন থাকবে।’ বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দশম জাতীয় সংসদের ২২তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রওশন এরশাদ বলেন, ‘পৃথিবীর অনেক দেশেই ফেসবুক নেই। চীনে নেই, সৌদি আরবে নেই।’ তিনি বলেন, ‘শিশুদের হাতে স্মার্টফোন তুলে দেওয়া আর কোকেন তুলে দেওয়া একই কথা। ডিজিটাল বাংলাদেশ, সোনার বাংলাদেশ গড়তে চাইলে ছেলেমেয়দের রক্ষা করতে হবে। উপায় খুঁজতে হবে।’

বর্তমান দশম জাতীয় সংসদকে অত্যন্ত সফল বলে আখ্যায়িত করে রওশন এরশাদ বলেন, ‘আগামী ২০ বছর ধরে সংসদে আছি। এবারের মতো সফল আলোচনামুখর পার্লামেন্ট আগে কখনও দেখিনি। আমরা সরকারি বিরোধী দল বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছি। সুষ্ঠুভাবে সংসদ চালাতে সাহায্য সহযোগিতা করেছি। আইন পাসের সময় আমাদের বিরোধী দলের অনেক সংশোধনী প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘তরুণ সমাজ ভবিষ্যতে যেন দেশের দায়িত্ব নিতে পারে সেভাবে গড়ে তুলতে হবে। আমাদের ১০ কোটি ৯১ লাখ কর্মক্ষম লোকের মধ্যে ৬ কোটি ৮০ লাখ কর্মে নিয়োজিত। বাকিরা বেকার। এই বেকার তরুণদের কর্মে সম্পৃক্ত করতে না পারলে সোনার বাংলা গড়ে তোলা সম্ভব নয়।’

কোটা সংস্কারের আন্দোলন করে অনেকে হয়রানির শিকার হচ্ছে বলে মন্তব্য করে রওশন এরশাদ বলেন, ‘আমরা বসে আলাপ-আলোচনা করে সমাধান বের করতে হবে। আমাদের ছেলেমেয়েরা হয়রানির শিকার হবে, তা চাই না। কোটা সংস্কারে স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।’ মুক্তিযোদ্ধা কোটা রাখা যেতে পারে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধার কোটা রাখতে হবে আর তুলে দেওয়া হলে মুক্তিযোদ্ধোদের অন্যভাবে সুযোগ সুবিধা দিতে হবে। কারণ মুক্তিযোদ্ধারা দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। দেশের জন্য তাদের অনেক ত্যাগ রয়েছে।’

বিভিন্ন দেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমার ‍উদাহরণ দিয়ে রওশন বলেন,  ‘চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়াতে ছাত্রছাত্রীদের দাবি যৌক্তিক। বাংলাদেশে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করা দরকার।এটা হলে দেশের জন্য ভালো হবে।’ বিষয়টি মায়ের দৃষ্টিতে দেখার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তিনি আহ্বান জানান।

রওশন এরশাদ বলেন, ‘এমপিওবিহীন সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তি করা দরকার। এমপিওভুক্ত না করলে শিক্ষকরা অভাব-অনটনে কী করে পড়াশোনা করাবেন?  কী করে প্রতিষ্ঠান চালাবেন?’