এর আগে জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত ৩৫ কার্যদিবসের শীতকালীন অধিবেশনে (১৯তম) পাস হয় ১৫ বিল, এপ্রিলে অনুষ্ঠিত ৫ কার্যদিবসের ২০তম অধিবেশনে পাস হয় ৫টি বিল এবং ২৫ কার্যদিবসের বাজেট অধিবেশনে (২১তম) পাস হয় ১৪টি বিল।
এবার সড়ক পরিবহন বিল, কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা বিল, কওমি মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি বিল, রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠান শ্রমিকের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির জন্য আনীত বিলসহ কয়েকটি বিল এ অধিবেশনেই সংসদে উত্থাপন করে তা এই অধিবেশনেই পাস করা হয়। ফলে এই বিলগুলো সংসদীয় কমিটিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য খুবই কম সময় পেয়েছে।
এবারের অধিবেশন সব থেকে গুরুত্বপূর্ন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী সমাপনী বক্তব্যে বলেছেন, ‘এই ১০ দিনের অধিবেশনে আমরা গুরুত্বপূর্ন বিলগুলো পাস করেছি। বিরোধী দল ও সরকারি দল আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি। মাত্র ১০ দিনে আমরা ১৮টি বিল পাস করেছি। এতগুলো বিল এত অল্প সময় খুব কমই পাস হয়েছে। বিরোধী দল বিলগুলো পড়েছে, সংশোধনী এনেছে, তাদের মতামত দিয়েছে। আমরা সরকারি দল ও বিরোধী দল মিলে দেশের মানুষের জন্য এক সঙ্গে কাজ করছি।’
সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি দশম সংসদের মেয়াদ শেষ হয়ে আসায় এবার ঝুলে থাকা বিলগুলো পাস করিয়ে নেয়া হয়েছে। আগামী অক্টোবরের শেষ দিকে দশম সংসদের শেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। ওই অধিবেশনটি খুবই কম সময়ের জন্য চলতে পারে বলে জানা গেছে।
এদিকে অধিবেশনের সমাপনী সেশনে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ বক্তব্য রাখেন। সমাপনী বক্তব্যে স্পিকার শিরীন শারমিন সংসদ পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
এ অধিবেশনে কার্যপ্রণালি বিধির ৭১ বিধিতে ১৮৯টি নোটিশ পাওয়া যায়। যার মধ্যে ৯টি গৃহীত এবং গৃহীত নোটিশের মধ্যে ৭টি সংসদে আলোচিত হয়। ৭১ এর ‘ক’ বিধিতে ৩০টি নোটিশ আলোচনা হয়।
অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর উত্তর দেওয়ার জন্য ৮৪টি প্রশ্ন পাওয়া যায়। যার মধ্যে ২৬টি প্রশ্নের উত্তর দেন সংসদ নেতা শেখ হাসিনা।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের উত্তর দেওয়ার জন্য এক হাজার ৫০৪টি প্রশ্ন পাওয়া যায়। যার মধ্যে মন্ত্রীরা জবাব দেন ৮১৫টির।