প্রধানমন্ত্রী বললেন, একজন সম্পাদক তো আমার বিরুদ্ধে লেখার জন্য প্রস্তুত থাকেন

সোমবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ছবি: ফোকাস বাংলা)পদ্মা সেতুর অর্থায়ন থেকে বিশ্বব্যাংক সরে যাওয়ার পেছনে  ড. মুহম্মদ ইউনূসের পাশাপাশি দেশের একজন সম্পাদকেরও ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘একজন সম্পাদক তো সব সময় আমার বিরুদ্ধে লেখার জন্য প্রস্তুত থাকে। পদ্মা সেতুর অর্থায়ন যেন না হয়,  ড. ইউনূসের সঙ্গে তিনিও বিশ্বব্যাংকে গিয়ে কথা বলেছিলেন।’ সোমবার (১৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এমন একাধিক মন্ত্রী বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এরআগে সংসদে পাস হওয়া ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের বিরুদ্ধে এডিটরস কাউন্সিলের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের বিষয়টি উপস্থাপন করেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনটি তো সংসদে পাস হয়ে গেছে। সংসদে পাস হওয়ার পর এখন তো আর কিছু করার নেই।’

উল্লেখ্য, গত ১৯ সেপ্টেম্বর বহুল আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা বিল সংসদে পাস হয়। এ আইনে পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেফতারের সুযোগ রাখা হয়েছে। সংসদের বৈঠকে বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এর আগে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্যদের বিলের ওপর জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও একাধিক সংশোধনী প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নিষ্পত্তি করা হয়। এরপর গত ৮ অক্টোবর এই আইনে স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।  

এর আগে, গত ২৯ জানুয়ারি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়া অনুমোদন করেছিল মন্ত্রিসভা। তখন থেকে এই আইনের বেশ কয়েকটি ধারা নিয়ে সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পক্ষ আপত্তি জানিয়ে আসছে। সম্পাদক পরিষদ এই আইনের ৮টি (৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২ ও ৪৩ ) ধারা নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আপত্তি জানিয়েছিল। এছাড়া ১০টি পশ্চিমা দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকরা এই আইনের ৪টি (২১, ২৮, ৩২ ও ২৫) ধারা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ৯টি ধারা (৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৩ ও ৫৮) পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছিল।