ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতার প্রাক্‌-প্রস্তুতি অপ্রতুল: মায়া

জাতীয় সংসদ (ছবি: সাজ্জাদ হোসেন)ঢাকায় ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতা চালানোর পর্যাপ্ত প্রাক্‌-প্রস্তুতি নেই বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন মায়া। তিনি বলেন, ‘ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতার প্রাক-প্রস্তুতি যা আছে, তা অপ্রতুল।’ সোমবার (২২ অক্টোবর) চট্টগ্রাম-৪ আসনের সংসদ দিদারুল আলমের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেনে।

ত্রাণমন্ত্রী বলেন, ‘ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধারকাজ চালানোর জন্য ইতোমধ্যে ৬৩ কোটি টাকার বিভিন্ন যন্ত্রপাতি কিনে ব্যবহারকারী সংস্থা—সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর, সিটি করপোরেশন, কোস্ট গার্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আরও আধুনিক যন্ত্রপাতি কেনার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া, প্রায় ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে রেসকিউ ভেহিকেল পিকআপ, রিচার্জেবল সার্চ লাইট, ফোল্ডেবল স্ট্রেচার, বডি ব্যাগ, ফেস/গ্যাস মাস্ক, স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য উদ্ধার সরঞ্জাম কিনে ব্যবহারকারী সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

মোফাজ্জল হোসেন মায়া জানান, ৬২ হাজার প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক তৈরির পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করা হয়েছে। ভূমিকম্প পরবর্তী ধ্বংসাবশেষ অপসারণের জন্য ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট নগরীর জন্য পৃথক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জনসচেতনতা তৈরির জন্য গণমাধ্যমে প্রচার ও পোস্টার, লিফলেট বিতরণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

একই প্রশ্ন ১১ জনের

সোমবার সংসদের প্রশ্নোত্তরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রীর কাছে ১১ জন সদস্য একই প্রশ্ন করেন। আর ওই প্রশ্নটিও তার মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট নয়। প্রশ্নে সংসদ সদস্যরা তাদের নিজ নিজ জেলা বা নির্বাচনি এলাকায় বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির অধীনে রাস্তাঘাট উন্নয়নের কোনও প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে কিনা, তা জানতে চান। মন্ত্রীর এক বাক্যে জবাব, ‘বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির আওতায় এ মন্ত্রণালয় হতে কোনো প্রকল্প গ্রহণ করা হয় না।’

প্রশ্নটি যেসব সংসদ সদস্য করেছেন তারা হলেন—আওয়ামী লীগের গোলাম দস্তগীর গাজী, মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, শরীফ আহমেদ, আলী আজ, জাতীয় পার্টির নুরুল ইসলাম ওমর, বেগম নাসরিন জাহান রত্না, তরিকত ফেডারেশনের এম এ আউয়াল, সংরক্ষিত আসনে বেগম উম্মে রাজিয়া কাজল, দিলারা বেগম, মিসেস আমিনা আহমেদ ও বেগম আখতার জাহান।

সংসদ সদস্যদের না জানিয়ে জেলা উপজেলায় ত্রাণ, জিআর বিতরণ বিষয়ে এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে ত্রাণমন্ত্রী বলেন, ‘জেলা বা উপজেলা পরিষদের উপদেষ্টা হিসেবে ত্রাণসহ সরকারি অনুদান বিতরণের আগে এমপিদের জানানোর কথা রয়েছে। তবে, অনেক ক্ষেত্রে এটা হয় না এমন তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে। তবে, এবার শীতের আগে যে কম্বল বিতরণের জন্য পাঠানো হবে, সেখানে এ বিষয়ে কড়া নির্দেশনা দেওয়া হবে।’