নিপীড়নের বিরুদ্ধে ‘মি টু’ আন্দোলন শক্তিশালী জবাব: কাবেরী গায়েন

কাবেরী গায়েননারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে ‘মি টু’ আন্দোলন অনেক শক্তিশালী জবাব বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক কাবেরী গায়েন। তিনি বলেন, ‘মি টু আন্দোলনের কারণে আমরা কোনও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, কোনও অ্যাক্টিভিস্ট সংগঠন বা নিজ প্রতিষ্ঠানের বস, সহকর্মী কিংবা একজন বিখ্যাত ব্যক্তির নাম নারী নিপীড়ক হিসেবে বলতে পারছি। তখন আমরা বুঝতে পারছি মি টু’র শক্তি কতটা। কাজেই এই আন্দোলনের সঙ্গে অন্য আন্দোলনের মৌলিক পার্থক্য আছে।’

মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) বাংলা ট্রিবিউনের সাপ্তাহিক আয়োজন ‘প্রসঙ্গ মি টু’ শীর্ষক বৈঠকিতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

রাজধানীর পান্থপথে বাংলা ট্রিবিউন স্টুডিওতে বিকাল সাড়ে ৪টায় বৈঠকি শুরু হয়। অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করছে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন নিউজ। পাশাপাশি বাংলা ট্রিবিউনের ফেসবুক ও হোমপেজে বৈঠকির লাইভ সম্প্রচার চলছে।

তিনি আরও বলেন, ‘কর্মস্থলসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরে নারীরা যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে এমন ঢালাও অভিযোগ করা হচ্ছিল। তবে এখন মি টু আন্দোলনের মাধ্যমে সুনির্দিষ্টভাবে নিপীড়কের নাম ও পরিচয় প্রকাশ করা যাচ্ছে। কাজেই এই আন্দোলনের সঙ্গে অন্য আন্দোলনের মৌলিক পার্থক্য আছে।’

ঢাবির এই অধ্যাপক আরও বলেন, ‘যিনি নিজের যৌন নিপীড়নের কথা তুলে ধরছেন তারা অনেক বড় ঝুঁকি নিয়ে এসব কথা বলছেন। কারণ তার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে অনেক ধরনের প্রমাণ ও সোশ্যাল স্টিগমার বিষয় আছে। মূল কথা, সারা বিশ্বে নারীবাদী আন্দোলন দীর্ঘদিন ধরে যেই শক্তি সঞ্চয় করছে তার বহিঃপ্রকাশ এই মি টু আন্দোলন।’

মুন্নী সাহার সঞ্চালনায় বৈঠকিতে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু, উই ক্যান-এর নির্বাহী সমন্বয়ক জিনাত আরা হক, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ তাজুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ফাহমিদুল হক এবং বাংলা ট্রিবিউনের প্রধান প্রতিবেদক উদিসা ইসলাম।