‘মি টু’ আন্দোলনকে ‘উই টু’ আন্দোলনে পরিণত করতে হবে: তাজুল ইসলাম

 

তাজুল ইসলাম‘মি টু’ আন্দোলনকে ‘উই টু’ আন্দোলনে পরিণত করে প্রান্তিক নারীদের নিপীড়নের কথা তুলে আনার আহ্বান জানিয়েছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘মি টু কে উই টুতে নিয়ে যেতে হবে। এটাকে আরও ছড়িয়ে দিতে হবে। আমরা শুধু উচ্চবিত্ত যারা তাদের কথা শুনছি, কিন্তু গৃহকর্মী কিংবা গার্মেন্টস শ্রমিকরা যে নিপীড়নের শিকার হচ্ছে সেটা আমরা কতটুকু জানি? উই টু বলতে আমরা বুঝিয়েছি প্রান্তিক জনগণকে। তাদের কথাও শুনতে হবে।’

মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) বাংলা ট্রিবিউনের সাপ্তাহিক আয়োজন ‘প্রসঙ্গ মি টু’ শীর্ষক বৈঠকিতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

রাজধানীর পান্থপথে বাংলা ট্রিবিউন স্টুডিওতে বিকাল সাড়ে ৪টায় বৈঠকি শুরু হয়। অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করছে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন নিউজ। পাশাপাশি বাংলা ট্রিবিউনের ফেসবুক ও হোমপেজে বৈঠকির লাইভ সম্প্রচার চলছে।

তাজুল ইসলাম বলেন, “মি টু অর্থ আমার সঙ্গেও হয়েছে। আমার সঙ্গে অনেক রকম অন্যায় হয়। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি একই মানুষ বারবার ভিক্টিম হয়। আমার একজন রোগী ছিলেন তিনি পুরুষ মানুষ ঘরে ঢুকতে দিতেন না। ভয় পেতেন। এমনকি বাইরে থেকে ফেরিওয়ালা আসলেও তিনি দা নিয়ে দৌড়ে যেতেন। পরে তাকে কাউন্সেলিং বরে জানতে পারি ছোটবেলা থেকে এখন পর্যন্ত অনেকবার তিনি লাঞ্ছিত হয়েছেন। তিনি আমাকে প্রশ্ন করেছিলেন- ‘আমিই কেন?’ মি টু যেটা আছে সেটার সঙ্গে বিষয়টি খুব মিলে যায়। বিষয়টি এমন যে- ‘আমি কেন বারবার নিপীড়নের শিকার হচ্ছি?’

তিনি আরও বলেন, ‘অনেক সময় দেখা যায় অনেকে প্রলোভন দিয়েও স্বার্থ উদ্ধার করতে পারে না। তার সঙ্গে যোগাযোগ না করলেও নানাভাবে প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করে। মি টুতে যে সব অভিযোগ আসছে তাতে সরাসরি ধর্ষণের কথা নেই। তবে নারীর শরীর রয়েছে। শারীরিকভাবে যদি নারীকে কেউ না পায়, তখন দূর থেকে অনেকভাবে যৌন অনাচার করার সুযোগ খুঁজে দোষীরা।’

মুন্নী সাহার সঞ্চালনায় বৈঠকিতে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক কাবেরী গায়েন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ফাহমিদুল হক, উই ক্যান-এর নির্বাহী সমন্বয়ক জিনাত আরা হক এবং বাংলা ট্রিবিউনের প্রধান প্রতিবেদক উদিসা ইসলাম।