কারাগারের অভিজ্ঞতা-অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে শহিদুল আলম লিখেছেন, ‘‘কখনও ভাবিনি ঢাকার যানজট, শীতের কুয়াশা কিংবা অনবরত বাজতে থাকা হর্ন আমার কাছে এত আকর্ষণীয় লাগবে। কখনও উপলব্ধি করিনি যে, দুর্দান্ত একটি মেধাবী আইনি দল এবং বাংলাদেশ ও সারাবিশ্ব থেকে দারুণ কিছু স্বাধীনতাপ্রেমী, সৃজনশীল মানুষ আমার পাশে এসে দাঁড়াবেন। ‘স্বাধীনতা’ শব্দটিকে এর আগে কখনও এভাবে চিন্তা করিনি।’’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি মুক্তি পেয়েছি, কিন্তু আমার এখনও মনে বিঁধে সেসব বন্দির গল্প যারা এখনও কেরানীগঞ্জ কারাগারেই রয়ে গেছেন। যারা আমাকে বন্ধু করে নিয়েছিলেন তাদের মনে পড়ছে খুব। আপনাদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছি আমি। ’
কেরানীগঞ্জ কারাগারের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে শহিদুল আলম লিখেছেন, ‘আমি যখন কেরানীগঞ্জের কারাগারে ছিলাম, তখন আমাকে বলা হয়েছিল, জেলে গেলেই বুঝতে পারবেন যে, কে প্রকৃত বন্ধু। আর কঠিন এই ১০৭টি দিনে যারা আমার পাশে ছিলেন, একাত্মতা প্রকাশ করেছিলেন ও বন্ধুত্বের আলিঙ্গনে জড়িয়ে ধরেছিলেন, তাদের প্রতি আমার স্যালুট ও কৃতজ্ঞতা।’