ইজতেমার মাঠে হামলাকারীদের গ্রেফতার না করলে কঠোর কর্মসূচি: মুফতি রুহুল আমীন

সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন মুফতি রুহুল আমীনটঙ্গীতে ইজতেমার মাঠের হামলাকে পরিকল্পিত বলে মন্তব্য করেছেন গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার মহাপরিচালক ও কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড গওহরডাঙ্গার চেয়ারম্যান মুফতি রুহুল আমীন। তিনি বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করতে হবে।  হামলার নির্দেশদাতা ওয়াসিফ-নাসিম-আশরাফ আলীসহ হামলাকারীদের গ্রেফতার না করলে দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের নিয়ে কঠিন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।’ বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) গোপালগঞ্জের গহরডাঙ্গায় আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে এ দাবি জানান তিনি।

মুফতি রুহুল আমীন বলেন, ‘এটি একটি পরিকল্পিত হামলা, যা দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং চৌকস গোয়েন্দা সংস্থার গৌরব নষ্ট করেছে। মাওলানা সাদের ভ্রান্ত আকিদা মওদুদিবাদ ছাড়িয়ে গেছে। এই মতবাদ এখন বাংলাদেশে জঙ্গি ফেতনায় রূপ নিয়েছে। এখনই তাদেরকে গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় না আনলে দেশের আইনশৃঙ্খলা হুমকির মুখে পড়বে।’

নির্বাচন কমিশনের বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে সা’দ অনুসারী ওয়াসিফ-নাসিমরা তাণ্ডব চালিয়ে নিরীহ ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের রক্তাক্ত করেছে অভিযোগ করে রুহুল আমীন বলেন, ‘সা’দপন্থীরা নির্বাচন কমিশনের বিধিনিষেধ অমান্য করে জোড়ের নামে সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে নিরীহ মানুষের ওপর হামলা করেছে। এটা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে নির্বাচন বানচালের পরিকল্পনা। এখনই এই সন্ত্রাসী বাহিনীকে গ্রেফতার না করলে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট হবে।’

গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘একটি মহল অন্য কারও এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিশ্ব ইজতেমা বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। ইজতেমার ময়দানে হামলা সেই পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ। সরকারের উচিত, দেশের শীর্ষ উলামা-মাশায়েখ এবং কাকরাইলের শীর্ষ আলেমদের সঙ্গে পরামর্শ করে নির্ধারিত সময়ে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করা।’

সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার শায়খুল হাদিস মুফতি আব্দুর রউফ, সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা শামছুল হক, খাদেমুল ইসলাম বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আজিজুর রহমান, খুলনার মাওলানা আসাদুল্লাহ, মাওলানা মাশহুদুর রহমান, মাওলানা কবির আহমাদ, মুফতি নুরুল ইসলাম, মুফতি উসামা আমীন প্রমুখ।