জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে যেতে চাই: প্রধানমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীতপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা ধ্বংসের দিকে যেত চাই না, আমরা অগ্রগতির দিকে যেতে চাই। সামনে নির্বাচন, যদি জনগণ ভোট দেয় তাহলে সরকারে ফিরবো, না হলে ফিরবো না। কিন্তু সান্ত্বনা এটাই যে মানুষ আজ বুঝতে পারছে তাদের ভাগ্য পরিবর্তনে কারা কাজ করে আর কারা কাজ করে না। কিন্তু আমি জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে যেতে চাই।’
শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) বিকালে গণভবনে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা চাই নির্বাচন নিরপেক্ষ ও অবাধ হবে। জনগণের জন্য কাজ করেছি, জনগণ খুশি হয়ে ভোট দিলে আছি, না দিলে নাই। ’ এসময় বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে জনগণসহ দেশের সামরিক-বেসমারিক সব ক্ষেত্রে অন্যায় অবিচারের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে। অনেক অপমান, অনেক কিছু সহ্য করার পরও সবার সঙ্গে আলোচনা করেছি। কারণ আমার একটিই কথা ছিল, সবাই মিলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন, নির্বাচনটা অবাধ নিরপেক্ষ হবে।’
এর আগে গণভবনে তিন শতাধিক সাবেক আমলা, কূটনীতিক, প্রকৌশলী আগামী নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করতে একাত্মতা প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে একাত্মতা প্রকাশ করে তারা নৌকার বিজয়ে দলের পক্ষে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
সাবেক সরকারি আমলাদের মধ্যে সিনিয়র সচিব ৬৫ জন, সাবেক রাষ্ট্রদূত ৯ জন, যুগ্ম/উপ সচিব পর্যায়ে ৭৫ জন, স্বাস্থ্য ক্যাডারের ১৪ জন, শিক্ষা ক্যাডারের ১৫ জন, প্রকৌশলী ২৭ জন, বন ও ডাক বিভাগের ১১ জন, পুলিশ ক্যাডারের ১৪ জন, কর ১৩ জন, কৃষি ৬৭ জন, টেলিকম, শুল্ক, রেলওয়ে, খাদ্যসহ অন্যান্য কাডারে ১১ জন।
উপস্থিত অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগামীতে নির্বাচন। আপনারা আজকে সবাই উপস্থিত হয়েছেন এবং আমাদের সমর্থন দিয়েছেন। একাত্মতা ঘোষণা করেছেন। আর সেই বিভীষিকাময় অবস্থায় দেশ যাক, সেটা আমরা চাই না। আবার অগ্নিসন্ত্রাস, বাংলা ভাই , জঙ্গিবাদ, মানিলন্ডারিং, দুর্নীতি মাদক অস্ত্র, সস্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এটা আর বাংলাদেশের মানুষ চায় না।’
দেশের উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ ও কর্মসূচিগুলো তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ করছি। সেগুলোকে তো আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে। নইলে আবার হয়ত সব ধ্বংস হয়ে যাবে। এখন আমরা যেমন খাদ্য উৎপাদনে একটা অবস্থান করে নিয়েছি, এই জায়গাগুলো আবার শেষ হয়ে যাবে।’
নৌকার পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে দলটির সভাপতি বলেন, ‘আমরা স্বাধীনতার চেতনা নিয়ে এদেশকে গড়তে চাই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে গড়তে চাই। ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলে জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করতে চাই। সোনার বাংলাদেশ গড়তে চাই। সেই জিনিসটুকু মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া দরকার।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, যাবে। আমরা চাই না একটা খুনির দল যুদ্ধাপরাধীর দল আর স্বাধীনতাবিরোধী, অগ্নি সন্ত্রাস যারা করে এরা আর এদেশে ক্ষমতায় আসুক। আমরা ধ্বংসের দিকে যেতে চাই না, অগ্রগতির দিকে যেতে চাই। এই অগ্রগতির পথে আমরা এগিয়ে যাবো।’
অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ছাড়াও দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান, এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান এ আর খান, প্রাইভেটাইজেমন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মোল্লা ওয়াহেদুজ্জামান, সাবেক মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মাসুদ আহমেদ, সাবেক সিনিয়র সচিব মো. মেজবাহ উদ্দিন ও মো. মেজবাহ উল আলমসহ অনেকেই এসময় উপস্থিত ছিলেন।