আশ্বাসের পরও চতুর্থ দিনের মতো আন্দোলনে শ্রমিকরা

কালশিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকরামালিকপক্ষের আশ্বাসের পরও চতুর্থ দিনের মতো আন্দোলনে নেমেছেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা। আজ বুধবার (৯ জানুয়ারি) রাজধানীর মিরপুরের কালশি এলাকায়  পোশাক শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেছেন।

বুধবার সকার সাড়ে ৮টা থেকে কালশি ২২ তলা গার্মেন্টসের সামনে তারা জড়ো হতে থাকেন।

ন্যূনতম মজুরি নিশ্চিতকরণ ও অপারেটর হেলপারের মধ্যে বেতন বৈষম্য দূর করার দাবিসহ বিভিন্ন দাবিতে তারা টানা চারদিন ধরে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, গাজীপুরে আন্দোলন করছেন।

প্রসঙ্গত, বেতন কাঠামোতে বৈষম্য দূর করাসহ বিভিন্ন দাবিতে ৬ জানুয়ারি থেকে থেকে আন্দোলন করছেন পোশাক শ্রমিকরা।

গত ১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া পোশাক শ্রমিকদের বেতন কাঠামোতে কোন বৈষম্য বা অসঙ্গতি থেকে থাকলে চলতি জানুয়ারি মাসের মধ্যেই তা সংশোধন করা হবে। ফেব্রুয়ারিতে সংশোধিত গ্রেডিংয়েই বেতন পাবেন শ্রমিকরা। টানা তিন দিনের শ্রমিক বিক্ষোভ নিরসনে মঙ্গলবার (৮ জানুয়ারি) শ্রম ভবনে আয়োজিত পোশাক শ্রমিক-মালিক ও সরকারের ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

বৈঠকে এ সমস্যা সমাধানে কমিটিও গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ কমিটিতে গার্মেন্টস মালিকদের পাঁচ জন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের পাঁচজন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব থাকবেন। এই কমিটি চলতি মাসের মধ্যে পোশাক শ্রমিকদের জন্য সরকার ঘোষিত বেতন কাঠামোর কোনও গ্রেডের মধ্যে অসঙ্গতি থাকলে তা বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদন জমা দেবে।

এ বৈঠকে শ্রমিকদের আন্দোলন ছেড়ে নিজ নিজ কারখানার কাজে ফিরে যাওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন নবনিযুক্ত বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী। তবে এরপরেও কেউ যদি রাস্তায় আন্দোলন করেন তাহলে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। 

বৈঠকে মজুরি কাঠামোর অসঙ্গতি ঠিক করার সিদ্ধান্তের পর শ্রমিক নেতাদের পক্ষে বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মাহাবুবুর রহমান ইসমাইল এবং জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিনুল হকও শ্রমিকদের বুধবার থেকে কাজে যোগদানের অনুরোধ জানান।