শ্রমিকরা কাজে না ফিরলে আগামীকাল থেকে কারখানা বন্ধ: বিজিএমইএ

১২৩৪৫৫৬৬৭৬৬আগামীকাল সোমবার থেকে যেসব শ্রমিক কারখানায় ফিরবেন না তাদের কোনও মজুরি দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে। এছাড়াও আগামীকালের মধ্যে শ্রমিকরা কাজে ফিরে না গেলে সব পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হবে বলেও ঘোষণা দিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান।

রবিবার (১৩ জানুয়ারি) পোশাক শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিজিএমইএ’র সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। শ্রমিকদের উদ্দেশে বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আপনার কর্মস্থলে ফিরে যান। উৎপাদন কাজে অংশগ্রহণ করুন।’

শ্রমিকরা আগামীকাল থেকে কাজ শুরু না করলে কারখানা বন্ধ করা হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘শ্রম আইনের ১৩/১ ধারা মোতাবেক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হবে।’

এ সময় সরকারের কাছে ব্যবসায়ী মালিকদের জান ও মালের নিরাপাত্তা চান বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘শ্রমিকদের মজুরি বোর্ডে বৈষম্য আছে বলে তাদের আন্দোলনে নামিয়েছে একটি কুচক্রী মহল। পোশাক শিল্পের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে একটি মহল চক্রান্ত করছে। বৈষম্যের কথা বলে শ্রমিকদের উসকানি দিয়ে, ভয়-ভীতি দেখিয়ে, কর্মবিরতি করতে প্ররোচিত করা হচ্ছে।’

বিজিএমইএ সভাপতি আরও বলেন, ‘আমরা একাধিকবার শ্রমিকদের অনুরোধ করেছি কাজে ফিরে যাওয়ার জন্য। কিন্তু তারা কাজে ফেরেনি। নতুন বেতন কাঠামোয় ব্ষৈম্য আছে এই উসকানি দিয়ে পোশাক খাতের শ্রমিকদের অশান্ত করা হচ্ছে। পোশাক শিল্প খাতকে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।’

সিদ্দিকুর রহমান আরও জানান, ৮ জানুয়ারি সরকার-মালিক ও শ্রমিকদের ত্রিপক্ষীয় কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। মজুরি গ্রেডের ৩, ৪ ও ৫ যদি সমন্বয়ের প্রয়োজন থাকে তা বিবেচনা করে সুপারিশ করবে সেই কমিটি। সেদিনের সভায় সবাই একমত হন বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট সমন্বয়ের পর তা কোনও শ্রমিকের মূল অথবা মোট মজুরির কম হবে না। এই ঘোষণা দেওয়ার পরও শ্রমিকরা কাজে ফেরেনি। তারা কারখানা ভাঙচুর করছে, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করছে, জনজীবনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।

বিজিএমইএ’র সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী এমপি, সংগঠনটির সাবেক সভাপতি ও ঢাকা উত্তরের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম, বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি ও এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন।