শ্রমিকরা কার ওপর আস্থা রাখবে: শফিকুল ইসলাম

বাংলা ট্রিবিউনের বিশেষ প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম

বাংলা ট্রিবিউনের বিশেষ প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘সরকার বেতন বাড়িয়েছে, মালিক দিচ্ছে না –এই অভিযোগ আমরা গণমাধ্যমকর্মীরা শুনেছি। এখানে আরেকটি বিষয় আছে, আর তা হলো– আস্থার অভাব। শ্রমিকরা কার ওপর আস্থা রাখবে?’

মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর পান্থপথে বাংলা ট্রিবিউন স্টুডিওতে দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন এই নিউজ পোর্টালের সাপ্তাহিক আয়োজন ‘মজুরি বাড়লেও বাড়ছে না শ্রমিকদের আস্থা’ শীর্ষক বৈঠকিতে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘৭ জানুয়ারি থেকে আন্দোলন শুরু করেন শ্রমিকরা, যেদিন বাংলাদেশের নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নিতে যাচ্ছিল। আমরা (গণমাধ্যমকর্মীরা) একদিকে বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রী পরিষদের শপথগ্রহণের অনুষ্ঠান শুনছিলাম, অন্যদিকে শ্রমিক আন্দোলনের কথাও শুনছিলাম। নানা জন নানাভাবে মেরুকরণ করেছে এই আন্দোলনকে। আন্দোলন তো করাই যায়, কিন্তু এ আন্দোলনের চিত্রটি ছিল ভিন্ন।’

তিনি আরও বলেন, ‘নতুন বেতন কাঠামো ২০১৮ সালে মজুরি বোর্ড ঘোষণা করে দিয়ে যায়, যা ১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হওয়ার কথা। তা ওই সময় কার্যকরও হয়েছে। জানুয়ারি মাসে শ্রমিকরা ডিসেম্বরের বেতন পাবে এবং তা বর্ধিত বেতন।’

তিনি বলেন, ‘সরকার এই বেতন নির্ধারণ করে দেয়। কিছু মালিক সেটা মানেননি। তারা তাদের মতো করে বেতন দেন, যার ফলে এই অরাজকতা হয় এবং তার জন্য ভোগান্তির শিকার হন দেশের গ্রিন ফ্যাক্টরির মালিকরাও।’

বাংলা ট্রিবিউনের এই বিশেষ প্রতিনিধি বলেন, ‘যেসব কারখানার মালিক নিয়মিত শ্রমিকদের বেতন দেন, সুযোগসুবিধা দেন, মর্যাদা দেন এবং প্রত্যেক বছর ইনক্রিমেন্ট দেন, সেই মালিকদের কারখানাও আছে ভাঙচুর হওয়া কারখানার তালিকার মধ্যে। এসব কারখানার শ্রমিক কি বিক্ষোভ করেছে? তারা করেনি, করেছে সেইসব শ্রমিক, যাদের মালিকরা বেতন কাঠামো অনুসারে বেতন দেননি। এর মানে জনরোষ এসে পড়ে আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় এই সেক্টরটির ওপরে।’

তিনি বলেন, ‘দেশের শতভাগ গার্মেন্টস মালিক খারাপ –এটা এখন আর আমরা বলতে পারি না।’