'নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়েছে’

আলোচনা সভাসংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট নাগরিকরা। শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও বর্তমান বাস্তবতা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বিশিষ্টজনেরা এ কথা বলেন।

তারা বলেন, নির্বাচন সম্পর্কে যা-ই বলা হোক না কেন, সংবিধান মোতাবেক অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা স্বাধীনতাবিরোধী। স্বাধীনতাবিরোধীরা কখনও দেশের ভালো চায় না। আগামী ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী (৫০ বছর পূর্তি) উদযাপন করা হবে। তার আগে এই স্বাধীনতাবিরোধীদের দেশ থেকে বিতাড়িত করতে হবে। তা না হলে দেশ কলঙ্কমুক্ত হবে না।

বক্তারা বলেন, নির্বাচন কমিশনকে মেনেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন সবাই। কিন্তু বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট কখনও নির্বাচন কমিশনের প্রশংসা করেছেন, আবার গালিও দিচ্ছেন।

অধ্যাপক কামরুল হাসান খান বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে কমিশনের কাছে অনিয়মের কোনও অভিযোগ পড়েনি। নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। তবে স্বাধীনতাবিরোধীরা এ নির্বাচনকে মেনে নিতে পারেনি।’

সভাপতির বক্তব্যে ডা. এস এ মালেক বলেন, ‘পৃথিবীর অনেক গণতান্ত্রিক দেশেও নির্বাচন শতভাগ অবাধ ও নিরপেক্ষ হয় বলে আমার মনে হয় না। বাংলাদেশেও এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঘটেনি। এজন্য সরকার ও বিরোধী দলের কিছু দায়িত্বহীন লোকেরাই দায়ী। নির্বাচনে অংশগ্রহণ বলতে যা বোঝায়, বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট তার সবকিছুই করেছে।

তিনি বলেন, এবার শেখ হাসিনা সরকার বিপুল ভোটে জয়ী হবেন তা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেকেই বিবৃতি দিয়েছিলেন। শেখ হাসিনা এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চান। তিনি ভালো করেই জানেন গণতন্ত্রে বিরোধী দলের ভূমিকা অনস্বীকার্য। আলোচনা সভায় আরও উপ‌স্থিত ছি‌লেন বাংলা একাডেমির সাবেক ডিজি শামসুজ্জামান খান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।