বুধবার (৩০ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডিএমপি সদর দফতরে মাঠে পুলিশ সেবা সপ্তাহ-২০১৯ এর র্যালি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, পুলিশ ও জনমানুষের মধ্যে একটি সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। নগরীতে মা-বোনেরা রাস্তায় বের হবে কেউ ডিস্টার্ব করবে না, ব্যবসায়ীদের কাছে কেউ চাঁদা চাইবে না, প্রবাসীরা দেশে ফ্ল্যাট ও জমি কিনবে, সেখানে কোনও দখলের ঘটনা ঘটবে না। নগরীতে অপরাধ কর্মকাণ্ড কমাতে আমরা উন্নত ও আধুনিক পুলিশিং তৈরির প্রত্যয়ে এবার কাজ করছি।
তিনি বলেন, মহানগরী থেকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ কঠোরভাবে নির্মূল করা হবে। যারা দুর্নীতি করবে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। মহানগরে কোথায় কোনও মাদকের আখড়া থাকবে না। যদি মাদকের কোনও আখড়া গড়ে উঠে তবে তা ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হবে। মাদক ব্যবসায়ী, সেবীসহ মাদকের সঙ্গে যারাই জড়িত থাকবে তাদের কাউকে কোনও প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, মহানগরে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ কাজ করছে। এজন্য বিভিন্ন জায়গাতে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। আমার মনিটরিং করে সেসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।
রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকাতে উঠান স্থানীয়দের সঙ্গে পুলিশ সদস্যরা নিয়মিত উঠান বৈঠক করছে। এর মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে পুলিশের একটি সুন্দর সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে। বিভিন্ন অপরাধের বিষয়ে নাগরিকদের সচেতন করা হচ্ছে। জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে জনমত তৈরির কাজ চলছে।
পুলিশ সেবা সপ্তাহ-২০১৯ এর র্যালি উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে ডিএমপি সদর দফতর থেকে একটি র্যালি বের হয়ে কাকড়াই দিয়ে শান্তিনগর গিয়ে শেষ হয়। এসময় র্যালি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও সাধারণ জনমানুষও উপস্থিত ছিলেন।