রাখাইনে ‘সেফ জোন’ চায় বাংলাদেশ

(ছবি সৌজন্য: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়)

রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের জন্য একটি ‘সেফ জোন’ তৈরির প্রস্তাব নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ। রবিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয় এক হোটেলে আয়োজিত সেমিনারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের এ কথা বলেছেন।

এ সময় তিনি বলেন, ‘প্রথমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি উপস্থাপন করেছিলেন। পরে যেসব অ্যারেঞ্জমেন্ট হয়েছে, সেখানে এটি ছিল না। আমরা এই প্রস্তাবটি আবার দিচ্ছি এবং নতুনভাবে দিচ্ছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘রাখাইনে একটি সেফ জোন হবে, যেখানে ভারত, চীন ও আশিয়ানের দেশগুলো রোহিঙ্গাদের দেখাশোনা করবে। কারণ, এদের প্রতি মিয়ানমারের আস্থা আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গারা ফেরত গেলে এই দেশগুলো তাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।’
প্রত্যাবাসন নিয়ে যে অ্যারেঞ্জমেন্ট স্বাক্ষর করা হয়েছে সেটির সংশোধনী আনা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেটি আমি বলতে পারবো না।’
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘মানবাধিকারের সবচেয়ে বড় উদাহরণ হচ্ছে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া। তাদের আশ্রয় না দিলে সেখানে লাখ লাখ রোহিঙ্গা মারা যেতো। এরা যত তাড়াতাড়ি ফেরত যাবে, ততোই মঙ্গল।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘মানবাধিকার রক্ষায় আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আমাদের যে উচ্চ প্রবৃদ্ধি হয়েছে তার বড় কারণ হচ্ছে সুশাসনের প্রতিষ্ঠা। দেশে অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান ও অন্যান্য মৌলিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করছে সরকার।’
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে বর্তমানে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে শুরু করে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর সহিংসতার মুখে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে সাত লাখের অধিক রোহিঙ্গা। আর আগে থেকেও অবস্থান করছিল আরও চার লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা।