সা’দ বিরোধীদের ইজতেমায় আজ যোগ দেবেন আহমদ শফী, ঢাকায় আহমদ লাট





ইজতেমা মাঠের বৃহস্পতিবারের চিত্র (ছবি: ফোকাস বাংলা)সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আজ শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) থেকে মাওলানা সা’দ বিরোধীদের ইজতেমা শুরু করার কথা ছিল। তবে গতকাল বৃহস্পতিবারই (১৪ ফেব্রুয়ারি) ইজতেমা শুরু করে দিয়েছেন তারা। এদিন ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় তাবলিগ জামাতের মওলানা সা'দবিরোধী অংশের ইজতেমা।

শুক্রবার ইজতেমার মাঠে আসবেন হেফাজত আমির শাহ আহমদ শফী। অন্যদিকে ইজতেমার মাঠে এসে পৌঁছেছেন ভারতের তাবলিগের মুরুব্বি মাওলানা আহমদ লাট।
জানা গেছে, মাওলানা আহমদ লাট বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকায় আসেন। সা’দ-বিরোধীরা শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) মাগরিবের আগে আখেরি মোনাজাত করে ইজতেমা মাঠ ছাড়বেন।
মাওলানা সা’দ অনুসারীদের ইজতেমা শুরু হবে রবিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি)। মাওলানা সা’দকে কেন্দ্রে করে তাবলিগে দুই ভাগ হওয়ায় এবারই প্রথম ইজতেমা বিভক্ত হলো।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ফজরের নামাজের পর মাওলানা আবদুল মতিন ইজতেমার কার্যক্রম শুরু করেন।
সা’দবিরোধী অংশের তাবলিগের দায়িত্বশীল সাথী জহির ইবনে মুসলিম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আহমদ শফী শুক্রবার হেলিকপ্টারে ঢাকায় আসবেন। এরপর ইজতেমার মাঠে জুমার নামাজ আদায় করবেন। তবে তিনি বয়ান করবেন কিনা, সেটি এখনও নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।’
জহির ইবনে মুসলিম বলেন, ‘শুক্রবার মুরুব্বিরা সিদ্ধান্ত নেবেন, এরপর চূড়ান্ত জানা যাবে কে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন। ইতোমধ্যে সারাদেশ থেকে হাজার হাজার মানুষ মাঠে এসেছেন। পাকিস্তানের শীর্ষ মুরুব্বি মাওলানা জিয়াউল হক ও মাওলানা উবাইদুল্লাহ খুরশীদ, ভারতের নিজামুদ্দিনের অন্যতম মুরুব্বি মাওলানা আহমদ লাট ইজতেমার মাঠে পৌঁছেছেন।’
তাবলিগ জামাতের বিবদমান দুই পক্ষকে সমঝোতায় এনে অভিন্ন ইজতেমা আয়োজনের চেষ্টা ছিল সরকারের। তবে মাওলানা সা’দকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষ অনড় থাকায় দফায় দফায় বৈঠক করেও অভিন্ন ইজতেমা আয়োজনে একমত করা যায়নি তাদের।
সর্বশেষ গত ৫ ফেব্রুয়ারি তাবলিগের দুপক্ষকে নিয়ে বৈঠক করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী। বৈঠকে পৃথকভাবে ইজতেমার তারিখ ঘোষণা করা হয়। সিদ্ধান্ত হয় এ বছর চারদিন ইজতেমা হবে। সা’দবিরোধী অংশ ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি (শুক্র ও শনিবার) ইজতেমা পরিচালনা করবে। সাদ অনুসারী অংশ ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি (রবি ও সোমবার) ইজতেমা পরিচালনা করবে। দুই দিন করে ইজতেমা করার সিদ্ধান্ত হলেও দুই পক্ষই একদিন করে বাড়িয়েছে তাদের কার্যক্রম। সা’দবিরোধীরা সরকার নির্ধারিত সময় থেকে একদিন আগে ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি তিনদিন ইজতেমা করছে। আর সা’দ অনুসারীরা সরকার নির্ধারিত ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারির (রবি ও সোমবার) পর ১৯ ফেব্রুয়ারিও ইজতেমার কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

আরও পড়ুন: তুরাগ তীরে সা’দ বিরোধীদের ইজতেমা একদিন আগেই শুরু