সাদ বিরোধীদের ইজতেমার আখেরি মোনাজাত আজ

 

ফাইল ফটোশনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে তাবলিগ জামাতের সাদ বিরোধী অংশের ইজতেমা। আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন বাংলাদেশের তাবলিগ জামাতের শুরা সদস্য মাওলানা জুবায়ের আহমেদ। অন্যদিকে মাওলানা সাদ অনুসারীদের ইজতেমা শুরু হবে ১৭ ফেব্রুয়ারি।

সাদ বিরোধী অংশের তাবলিগের দায়িত্বশীল সাথী জহির ইবনে মুসলিম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রাত সাড়ে ১০টার পর মুরব্বিরা বৈঠকে বসেন। এরপর সিদ্ধান্ত হয় শনিবার সকাল ১০টা আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। সবার সিদ্ধান্ত অনুসারে মোনাজাত পরিালনা করবেন মাওলানা জুবায়ের আহমেদ।’

এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হয় তাবলিগ জামাতের মাওলানা সাদ বিরোধী অংশের ইজতেমা। শনিবার সকাল ১০টা আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে তাবলিগ জামাতের সাদ বিরোধী অংশের ইজতেমা। এরপর এ অংশের তাবলিগ কর্মী টঙ্গী ইজতেমা মাঠ ছেড়ে দেবেন। আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তারা স্থানীয় প্রশাসনের কাছে মাঠ হস্তান্তর করবেন। একই সঙ্গে সাদ বিরোধী অংশে আগত বিদেশি মেহমানরা ইজতেমা শেষে উত্তরা হাজী ক্যাম্পে অবস্থান করতে পারবেন।

অন্যদিকে মাওলানা সাদ অনুসারীরা ১৭ ফেব্রুয়ারি ফজরের নামাজের পর ইজতেমা মাঠে প্রবেশ করবেন। ইজতেমায় মুসল্লিদের ব্যক্তিগত মালামাল ছাড়া অন্য সব মালামাল স্থানীয় প্রশাসনের দায়িত্বে থাকবে।

এদিকে শুক্রবার জুমার নামাজে অংশ নেন সারাদেশ থেকে আগত মুসল্লিরা। মাগরিবের নামাজের পর বয়ান করেন ভারতের তাবলিগের মুরব্বি মাওলানা ইবরাহীম দেওলা। তার বয়ানের অনুবাদ করেছেন বাংলাদেশে দাওয়াতে তাবলিগের শুরা সদস্য মাওলানা জোবায়ের।

মাওলানা সাদ বিরোধী অংশের ইজতেমায় অংশ নিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফী। শুক্রবার দুপুরে হেলিকপ্টারে চড়ে চট্টগ্রাম থেকে টঙ্গীতে আসেন তিনি। আহমদ শফী আখেরি মোনাজাত পর্যন্ত ইজতেমায় অবস্থান করবেন। সাদ বিরোধী অংশকে শুরু থেকেই সমর্থন দিয়ে আসছে হেফাজত।

সরকারের পক্ষ থেকে দুদিন করে ইজতেমার অনুমতি দিলেও দুপক্ষই সেটি মানেনি। পৃথকভাবে দুপক্ষের ইজতেমা চার দিন হওযার কথা ছিল। সাদ বিরোধী অংশের জন্য ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি এবং সাদ অনুসারী অংশের জন্য ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি ইজতেমা তারিখ নির্ধারণ করে দেয় সরকার। তবে সাদ বিরোধীরা নির্ধারিত সময় থেকে একদিন আগে ১৪ ফেব্রয়ারি ইজতেমা শুরু করে। এদিকে সাদ বিরোধীদের মতো সাদ অনুসারীরাও বাড়তি একদিন ইজতেমা পরিচালনা করবে। তাদের ইজতেমা ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা চলবে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।