‘রিকশায় বসেই পুড়েছে আমার ভাই’

দগ্ধ হাজি সালাউদ্দিনআমার ভাই হাজি সালাউদ্দিন (৪৫) কাজ শেষে দোকান বন্ধ করে রিকশায় বাড়ি ফিরছিল। এ সময় হঠাৎ বিস্ফোরণে আগুন ছড়িয়ে যায় রাস্তায়। সেই আগুন রিকশায় লেগে আমার ভাই পুড়ে গেছে। সে এখন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন। কথাগুলো বলছিলেন চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহত সালাউদ্দিনের ভাই হাজি নাসির।

হাজি নাসির বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ মানুষ এখনও ঠিকমতো বলতে পারছে না আগুন কীভাবে লাগলো। পেছন থেকে লাগা আগুন হঠাৎ আমার ভাই যে রিকশায় করে আসছিল সেখানে লেগে যায়। পরে তাকে ঢামেকের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।’

হাজি সালাউদ্দিনের বন্ধু আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা চকবাজারেই থাকি। শব্দ শুনে ছুটে আসি। প্রথমে একটা পিকআপে আগুন লাগে। সেখান থেকে ট্রান্সমিটারে আগুন লাগে। সেখান থেকে হোটেলের সিলিন্ডারে আগুন লেগেছে। কীভাবে পিকআপে আগুন লাগে বলতে পারবো না। ১৫ মিনিট পর ফায়ার সার্ভিস এসেছে। ওই সময় চকবাজারে খুব জ্যাম ছিল। আগুনে সালাউদ্দিনসহ রিকশাওয়ালাও পুড়েছে বলে আমরা ধারণা করছি।

তিনি আরও বলেন, চিকিৎসকরা বলেছেন সালাউদ্দিনের শরীরের ১০ অংশ পুড়ে গেছে। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন সে (সালাউদ্দিন) সুস্থ হয়ে যাবে। আমরা সেই আশায় আছি।
এদিকে চকবাজারে আগুন লাগার ঘটনায় দগ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছেন গাড়িচালক আনোয়ার হোসেন (৫৫)। তার শরীরের ২৮ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
আনোয়ারের ফুপাতো বোন ডলি বেগম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে যখন চকবাজারে এ ঘটনা ঘটে তখন আমার ভাই আনোয়ার গাড়ি নিয়ে সেখানে গিয়েছিল। তার অবস্থা এখন বলতে পারছি না। হাসপাতালে আসার পর আমরা আর তাকে দেখতে পাইনি।