আরও একটি দল থাকলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হতো বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র পদপ্রার্থী আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আরও একটি দল থাকলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতো। যারা আসেনি তারা নির্বাচনে আসলে নির্বাচন আরও সুন্দর হতো।’
বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে তিনি উত্তরার আজমপুর এলাকার নওয়াব হাবিবুল্লাহ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে ভোট দিতে যান। ভোট দেওয়ার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আতিকুল এসময় বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় উত্তর সিটির ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আসার আহ্বান জানান। ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ভোট গণতান্ত্রিক অধিকার। আপনারা আসুন, ভোট দিন। সুন্দর ঢাকা সাজানোর জন্য আমি আপনাদের ভোট প্রত্যাশী।’
উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে ভোটগ্রহণের পাশাপাশি উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ১৮টি করে মোট ৩৬টি ওয়ার্ডে (সম্প্রসারিত) কাউন্সিলর পদে ভোট চলছে। সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা বিরতিহীনভাবে চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
এদিকে দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বাম গণতান্ত্রিক ফ্রণ্টসহ নিবন্ধিত বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল মেয়র নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় ভোটের উত্তাপ তেমন ছড়ায়নি। সকাল থেকে কেন্দ্রে ভোটারদের তেমন উপস্থিতিও চোখে পড়েনি। তবে সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটার বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ঢাকা উত্তর সিটিতে যুক্ত হওয়া ১৮টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১১৬ জন এবং সংরক্ষিত ছয়টি ওয়ার্ডে ৪৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অন্যদিকে, ঢাকা দক্ষিণ সিটির ১৮টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১২৫ জন ও সংরক্ষিত ছয়টি ওয়ার্ডে ২৪ জন প্রার্থী রয়েছেন।
এদিকে নির্বাচিত মেয়র এক বছরের কিছু বেশি সময় দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাবেন। কাউন্সিলর পদে সাধারণ নির্বাচন হলেও তাদের মেয়াদও হবে মেয়র পদের সমান।
সিটি নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করে। বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে কর্মকর্তারা নির্বাচনি সামগ্রী কেন্দ্রে নিয়ে যায়। মেয়র পদের ব্যালট পেপার রাতেই পাঠানো হলেও সিল মারার শঙ্কায় ৩৬টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদের ব্যালট পেপার ভোরে কেন্দ্রগুলোতে পাঠানো হয়।
নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ পর্যাপ্ত সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োগ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব পর্যবেক্ষকরাও মাঠে থাকবেন। ভোটারদের নিরাপত্তায় বিজিবি, পুলিশ ও র্যাবের টিম টহলে থাকবে। এ ছাড়া, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। কমিশন সুষ্ঠু-সুন্দর নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।’