ভোটের পরিবেশের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) প্রার্থী শাহীন খান বলেন, ‘কেন্দ্রে ভোটার নেই বললেই চলে। কোনও কেন্দ্রে আছে এক-দু’জন। মানুষের ভোট দেওয়ার কোনও আগ্রহও নেই। কারণ, সবাই মনে করছে আগের রাতেই ভোট হয়ে যায়। তো ভোট দিয়ে লাভ কী। কিছুই তো হয় না। তাদের মতো আমিও একই কথা মনে করছি।’
স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রহিম বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনে মানুষের মনে একটা ভীতি তৈরি হয়েছে। সেই ভীতি এখনও কেটে উঠতে পারেনি। সে কারণে কোনও ভোটার নেই। যারা রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় আছে তাদের দায়িত্ব বেশি ছিল। তারা কিন্তু মানুষকে সেভাবে উৎসাহিত করতে পারেনি। তার মানুষকে আশ্বস্ত করতে পারতো। তাহলে মানুষের মনের সেই ভয়টা দূর হতো।’
এক প্রশ্নের বাজাবে তিনি বলেন, ‘মানুষ ভোটকেন্দ্রে আসবে কীভাবে? সেই পরিবেশ তো রাখা হয়নি। কমিশন যদি রাতের বেলা ব্যালট পেপার সরবরাহ না করতো তাহলে অনেক ভালো করতো। কারণ, মানুষের মনে সংশয় আছে রাতেই ভোট হয়ে যায়। যেহেতু এই নির্বাচন ঢাকার মধ্যে, তাই ব্যালট সরবরাহ সকালেই করা যেতো। এটা কমিশনের একটা ভুল হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল থেকেই ঢাকায় বৃষ্টি নেমেছে। অরেকটি কথা হলো- আমাদের অপজিশন পার্টি যারা আছেন তারাও ভোটার আনার চেষ্টা করছেন। কিন্তু কীভাবে করছেন তা আমার জানা নেই। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, একটি দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। তারা আসলে নির্বাচন আরও সুন্দর হতো। আমি সবাইকে বলছি আপনারা চা, খিচুড়ি খেয়ে ভোট দিতে আসুন। ভোটাধিকার প্রয়োগ করুন।’
জাতীয় পার্টির প্রার্থী শাফিন আহমেদ বলেন, ‘সকাল থেকে ঘুরছি। ভোটার দেখছি না। আগ্রহও নেই। মানুষের মনে নানা সংশয় রয়েছে। এখানে নতুন করে বলার কিছু নেই। নির্বাচনে কী হয় তা সবারই জানা। আর যেখানে প্রতিযোগিতা নেই সেখানে আগ্রহও থাকে না।’