একুশে গ্রন্থমেলা শেষ হচ্ছে শনিবার

একুশে বইমেলা

লেখক ও প্রকাশকদের দাবির কারণে দুই দিন সময় বাড়ানোর পর শনিবার (২ মার্চ) শেষ হচ্ছে ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৯’। যদিও মেলার শেষ দিন হিসেবে বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সম্পন্ন হয়েছে মেলা সমাপ্তির সব আনুষ্ঠানিকতা।

প্রসঙ্গত, গত ১ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একুশে গ্রন্থমেলা-২০১৯ এর উদ্বোধন করেন।

এবার মেলার স্লোগান ছিল ‘৫২ থেকে ৭১, ৭১ থেকে ১৯ নবপর্যায়’। এবারের মেলায় ৪৯৯টি প্রতিষ্ঠানের ৭৭০টি স্টল অংশ নেয়। এবছর বাংলা একাডেমি তিন লাখ বর্গফুট জায়গার ওপরে মেলার আয়োজন করে।

বৃহস্পতিবার মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রতিবেদন তুলে ধরেন বাংলা একাডেমির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ।

সদস্য সচিব বলেন, ‘এবছর বাংলা একাডেমি ২ কোটি ১৫ লাখ টাকার বই বিক্রি করেছে। স্টল মালিকদের তথ্য অনুযায়ীম, এবছর মেলায় গত বছরের তুলনায় আনুমানিক ১০ শতাংশ বিক্রি বেশি হয়েছে, যা গত বছর হয়েছিল ৭০ কোটি ৫০ লাখ টাকা।’

বাংলা একাডেমি সূত্র জানায়, এবারের গ্রন্থমেলায় নতুন বই এসেছে ৪ হাজার ৬৮৫টি।

এ বছরই প্রথমবারের মতো ‘কবি জসীমউদদীন সাহিত্য পুরস্কার ২০১৯’ দেয় বাংলা একাডেমি। এবারের জসীমউদদীন সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন কবি নির্মলেন্দু গুণ। একই সঙ্গে ২ লাখ টাকার চেক, সনদ ও একটি ক্রেস্ট।

এছাড়া, ২০১৮ সালে প্রকাশিত বিষয় ও গুণমানসম্মত সর্বাধিক সংখ্যক গ্রন্থ প্রকাশের জন্য কথাপ্রকাশ-কে ‘চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার-২০১৯’ প্রদান করা হয়।

২০১৮ সালে প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে গুণগতমান ও শৈল্পিক বিচারে সেরা গ্রন্থ বিভাগে গোলাম মুরশিদের ‘বিদ্রোহী রণক্লান্ত: নজরুল জীবনী’ গ্রন্থের জন্য প্রথমা প্রকাশনকে, মইনুদ্দীন খালেদের মনোরথে শিল্পের পথে গ্রন্থের জন্য জার্নিম্যান বুকসকে এবং মারুফুল ইসলামের মুঠোর ভেতর রোদ গ্রন্থের জন্য চন্দ্রাবতী একাডেমিকে ‘মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার ২০১৯’ দেওয়া করা হয়। বাসস

/এপিএইচ/

২০১৮ সালে প্রকাশিত শিশুতোষ গ্রন্থের মধ্য থেকে গুণমান বিচারে সর্বাধিক গ্রন্থ প্রকাশের জন্য পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেডকে রোকনুুজ্জামান খান ‘দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার-২০১৯’ প্রদান করা হয়।

২০১৯ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্য থেকে নান্দনিক অঙ্গসজ্জায় সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে মধ্যমা (এক ইউনিট), বাতিঘর (বহু ইউনিট), পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লি.-(প্যাভেলিয়ন)-কে ‘শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার ২০১৯’ প্রদান করা হয়।

পুরস্কারপ্রাপ্ত সকল প্রকাশককে ২৫ হাজার টাকার চেক, সনদ ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। বাসস