অকল্যান্ডে বাংলাদেশের অনারারি কনসাল জানান, নিউ জিল্যান্ডে বাংলাদেশি কমিউনিটির লোকজন সাতজনকে ফোনে পাচ্ছেন না। তারা সেদিন ঘটনাস্থলে ছিলেন। আমাদের আশঙ্কা, হয়তো এই সাতজন মারা গেছেন।
শফিকুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমরা এখন আনুষ্ঠানিকভাবে জানি না, কতজন মারা গেছে। কর্তৃপক্ষ তদন্ত করছে। মৃতদেহগুলো ঘটনাস্থলেই রয়েছে। আশা করি শনিবারের মধ্যে জানতে পারবো।
শফিকুর রহমান বলেন, ‘শুক্রবার শুনেছিলাম ডা. সামাদের স্ত্রী মারা গেছেন। তবে আসলে বিষয়টি সত্যি নয়। তিনি বেঁচে আছেন। তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি আমাকে জানিয়েছেন, ডা. সামাদ যে বেঁচে নেই, আনুষ্ঠানিকভাবে এটি তাকে এখনও জানানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, ১৫ মার্চ শুক্রবার নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুই মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে নারী, শিশুসহ ৪৯ জন মুসল্লিকে হত্যা করা হয়। খুন হন ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদের ৪১ জন এবং লিনউডের আরেকটি মসজিদে আটজন মুসল্লি। এই সন্ত্রাসী হামলার সময় আল নূর মসজিদে নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যরা। তারা মসজিদে ঢোকার কিছুক্ষণ আগে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। ফলে অল্পের জন্য বেঁচে যান বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।