তাদের প্রদর্শিত প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল ‘ডাকসুতে সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষ পদে ছাত্র প্রতিনিধি চাই’, ‘অভিষেক অনুষ্ঠান থেকে পুনর্নির্বাচনের ঘোষণা আসুক’, ‘ভোট কারচুপির প্রশাসন চাই না’, ‘আনিশা অক্সফোর্ডের সভাপতি আর ভিসি ডাকসুর সভাপতি!’ ইত্যাদি।
পুনর্নির্বাচনের দাবিতে ছাত্রদলের কালো ব্যাজ কর্মসূচি
ডাকসুর প্রথম কার্যকরী সভা চলমান থাকা অবস্থায়ই পুনর্নির্বাচনের দাবিতে ছাত্রদল মুখে কালো কাপড় বেঁধে মানববন্ধন করে। মধুর ক্যানটিন থেকে তাদের এই কর্মসূরি শুরু হয়। পরে ডাকসু ভবনের সামনে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে তাদের কর্মসূচি শেষ হয়।
এসময় ছাত্রদলের প্যানেল থেকে সাধারণ ভিপি প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘দীর্ঘ ২৮ বছর পর ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে একটি কালো অধ্যায় রচিত হয়েছে। আমরা মনে করেছিলাম অন্যান্য নির্বাচনের চেয়ে এই নির্বাচন আলাদা হবে। কিন্তু তা হয়নি। আমাদের দাবি হল পুনঃতফসিল ঘোষণা করতে হবে, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে, যারা অনিয়মের নির্বাচনে সঙ্গে জড়িত তাদের বিচার করতে হবে।’
জাসদ ছাত্রলীগের সমাবেশ
পুনঃনির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জাসদ ছাত্রলীগ। মধুর ক্যানটিনের সামনে তারা এই কর্মসূচি পালন করে। এরপর সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে তাদের কর্মসূচি শেষ হয়। সমাবেশে জাসদ ছাত্রলীগের সভাপতি আহসান হাবীব শামীম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তাদের পদত্যাগ করে পুনরায় ডাকসু নির্বাচনে দিতে হবে।’
ছবি: সাজ্জাদ হোসেন।