ক্ষয়ক্ষতি দেখতে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় এফ আর টাওয়ারে প্রবেশ করেছেন ওই ভবনে থাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও মালিকরা। এসময় তাদের ছবি না তোলার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকাল পৌনে পাঁচটার দিকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দুজন করে প্রতিনিধিকে ভেতরে যাবার অনুমতি দেওয়া হয়।
ডিএমপি গুলশান জোনের ডিসি মোশতাক আহমেদ বলেন, ‘বেলা আড়াইটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আমাদেরকে ভবনটিতে প্রবেশের অনুমতি দেয়। এরপর আমরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের তালিকা করেছি। পরে তাদের সঙ্গে পুলিশ দিয়ে ভবনের ভেতরে প্রবেশ করানোর উদ্যোগ নেই। তারা পুলিশের সঙ্গে থেকেই সবকিছু ঘুরে দেখবেন। আবার চলে আসবেন।’
পুলিশের এসআই ও এএসআই পদমর্যাদার ২২ জন কর্মকর্তা ভবনের ২২টি ফ্লোরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের নিয়ে যান।
ভবনটির নিচ তলায় আমেরিকার ডেইরি মিল্ক সেলস সেন্টারের কর্মকর্তা রনি হালদার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘পুলিশ আমাদেরকে ভেতরে নিয়ে যাবে। ভেতরে গিয়ে আমরা নিজেদের অফিসের অবস্থা দেখে আসবো। আর টাকা পয়সাসহ মূল্যবান কিছু থাকলে নিয়ে আসবো।’
এদিকে, আর এফ প্রোপার্টিজ লিমিটেডের একজন প্রতিনিধি জানান, ভবনটির ২২টি ফ্লোরে মোট ২৯টি প্রতিষ্ঠানের অফিস রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের দুই জন করে প্রতিনিধি ভেতরে নেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে ২১-তলা বনানীর এফ আর টাওয়ারের ৯ তলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট আগুন নেভানো ও হতাহতদের উদ্ধারের কাজ করে। পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, রেড ক্রিসেন্টসহ ফায়ার সার্ভিসের প্রশিক্ষিত অনেক স্বেচ্ছাসেবী কাজ করে। প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা চেষ্টার পর রাত ৭টায় আগুন নেভানো সম্ভব হয়। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৫টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-
এফআর টাওয়ারের অনুমোদন দেওয়া রাজউক চেয়ারম্যানকে খুঁজছেন পূর্তমন্ত্রী
এফআর টাওয়ারে আগুন: ২৫টি লাশ উদ্ধার, ২৪টি হস্তান্তর
আগেও আগুন লেগেছিল এফ আর টাওয়ারে
রাজধানীর আট হাসপাতালে ভর্তি ৫৯