শনিবার (৩০ মার্চ) ভোর ৫টা ৪৮ মিনিটের দিকে কাঁচা বাজারের আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউরিনট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। বাজারটিতে ছাউনি হিসেবে প্লাস্টিকের টিন ব্যবহার করা হয়েছিল। প্রায় ৩ শ'র মতো দোকান। সব পুড়ে ছাই।
ব্যবসায়ী মাসুদুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কাঁচাবাজারের অনেক প্লাস্টিকের জিনিসপত্র রয়েছে। এছাড়াও গৃহসামগ্রী, মুদি জিনিসপত্র, সবজির বাজার, কসমেটিক্স দোকান, পারফিউমের দোকানসহ বিভিন্ন দোকান রয়েছে।’
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশনস) মেজর শাকিল নেওয়াজ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আগুন আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত আগুন নিভিয়ে ফেলতে।’
এদিকে গুলশান কাঁচা মার্কেটের পাশেই পাকা মার্কেটের সহসভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘দুই বছর আগে কাঁচা মার্কেটে আগুন লেগে সব পুড়ে গিয়েছিল। মেয়র আনিসুল হক থাকা কালীন তিনি অস্থায়ীভাবে দোকান মালিকদের সাময়িক ব্যবসা চালিয়ে যেতে শেড দিয়ে দোকান তৈরির অনুমতি দেন।’
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘মার্কেটটিতে এর আগে যখন আগুন লাগে তখন অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। এখনও অগ্নিনির্বাপণের কোনও ব্যবস্থা নেই। আমরা এখানে ডি এন সি সি স্থায়ী মার্কেট করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু মামলার জটিলতা আছে। আমরা এই মামলার নিষ্পত্তি করে যত দ্রুত সম্ভব স্থায়ী মার্কেটের দিকে যাবো৷ যেখানে অগ্নিনির্বাপণসহ ব্যবসায়ীদের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা থাকবে।’
আরও পড়ুন-
এই মার্কেটে অগ্নিনির্বাপণের কোনও ব্যবস্থা নেই: ডিএনসিসি মেয়র
গুলশানের ডিএনসিসি মার্কেটে আগুন