শনিবার (৩০ মার্চ) সকাল ৯ টার দিকে সৈয়দা রাবেয়া সুলতানা বলেন, ‘আমরা ঋণ করে ব্যবসা করি। কীভাবে টাকা পরিশোধ করবো বুঝতে পারছি না। সব দোকান পুড়ে ছাই।’
এই মার্কেটে বারবার আগুন লাগা নিয়ে তার ক্ষোভ রয়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রতিবছর এখানে আগুন কেন? আমরা বুঝতে পারি না।’
সৈয়দা রাবেয়া সুলতানা জানান, তার স্বামী মনির হোসেন কর্মচারী নিয়ে ছয় ফিট বাই ছয় ফিট দোকান পাঁচটি পরিচালনা করেন। তিনি আরও জানান, ‘ভোর ৫টায় খবর শুনে ছুটে আসি। পাঁচটি দোকানে ক্রোকারিজের জিনিসপত্র সব পুড়েছে। কিছু বাঁচাতে পারিনি।’
রাবেয়া-মনির দম্পতির তাদের চার মেয়ে রয়েছে। বড় মেয়ে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। অন্য তিন মেয়েও স্কুলে পড়ালেখা করে। কীভাবে সংসার চালাবেন, সন্তানদের লেখা পড়ার খরচ কীভাবে চালাবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় তিনি। এই নারী বলেন, ‘গ্রামে চলে যেতে হবে। কীভাবে ১২ লাখ টাকা পরিশোধ করবো?’
এদিকে ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কাঁচাবাজারে আমাদের ৯টা দোকান রয়েছে। গোডাউন রয়েছে। দুইটা দোকান কেনা, বাকিগুলো ভাড়া। ক্রোকারিজ, সিরামিকসহ বিভিন্ন পণ্যের দোকান রয়েছে। সব পুড়েছে।’
শনিবার (৩০ মার্চ) ভোর ৫ টা ৪৮ মিনিটের দিকে ডিএনসিসির কাঁচাবাজারের আগুন লাগে। আগুনে প্রায় ৩শ’ দোকান পুড়ে যায়।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) মেজর শাকিল নেওয়াজ জানিয়েছেন, ‘মার্কেটে আগুন নেভানোর কোনও ব্যবস্থা ছিল না। পানির সংকট ছিল। ২০১৭ সালের অগ্নিকাণ্ডের পর যে সুপারিশ করা হয়েছিল, তা মার্কেট কর্তৃপক্ষ পরবর্তীতে অনুসরণ করেনি।’
আরও পড়ুন-
মার্কেট কর্তৃপক্ষকে চার বার সতর্ক করা হয়েছে: ফায়ার সার্ভিস
এই মার্কেটে অগ্নিনির্বাপণের কোনও ব্যবস্থা নেই: ডিএনসিসি মেয়র