ভাঙা ভাঙা বাংলায় শুভ নববর্ষ

মঙ্গল শোভাযাত্রায় বাঙালিদের সঙ্গে মিশে গেছেন বিদেশিরাওগায়ে পাঞ্জাবি, গলায় গামছা। মঙ্গল শোভাযাত্রায় হাজারও মানুষের ভিড়ে আলাদা করে চেনার উপায় নেই। তবে পাশ দিয়ে যারা যাচ্ছেন, অনেকেই তাদের শুভ নববর্ষ বলে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। জবাবে, ‘শুবো নবো বরশো’ বলছেন ভাঙা ভাঙা বাংলায়। লেবানন থেকে এসেছেন লয়েল তাবানন। তার কণ্ঠে ভাঙা ভাঙা বাংলায় নববর্ষের এই শুভেচ্ছা।
প্রতি বছরের মতো এবারও মঙ্গল শোভাযাত্রাসহ বাংলা বর্ষবরণের আয়োজনে দেখা গেছে বিদেশিদের। অনেকেই এসেছেন বাংলাদেশি পোশাকে। নারীরা পরেছেন শাড়ি, কামিজ। ছেলেদের দেখা গেছে পাঞ্জাবি কিংবা ফতুয়ায়। অতিথিপরায়ণ বাঙালিরাও তাদের আপন করে নিয়েছেন। বিদেশিদের দেখে কেউ কেউ এগিয়ে এসে ‘শুভ নববর্ষ’ বলে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। কেউ কেউ তুলছেন ছবি। আর বিদেশিরাও এ আতিথেয়তায় মুগ্ধ। তারাও ভাঙা ভাঙা বাংলায় শুভ নববর্ষ বলে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন।
মঙ্গল শোভাযাত্রামঙ্গল শোভাযাত্রায় ঢাকের বাদ্যের তালে তালে বিদেশি অনেকেই নেচে উঠেছেন। বর্ণিল সাজে সকলের সঙ্গে মিশে গিয়ে মেতে উঠেছেন উল্লাসে। দূর থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই তারা বিদেশি।
বৈশাখের প্রথম দিনে শুধু চারুকলা নয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাজুড়ে মানুষের জনসমাগম। মানুষের বর্ণিল পোশাক দেখে মনে হবে রঙের স্রোত। এ রঙ দেখে মুগ্ধ বিদেশিরা। তারাও ছবি তুলেছেন এ আয়োজনের। বিদেশিদের দেখে অনেকে আবদার করছেন সেলফি কিংবা ছবি তোলার জন্য, তারাও হাস্যোজ্জ্বল মুখে বন্দি হচ্ছেন ফ্রেমে।
স্পেন থেকে এসেছেন হোছে। সঙ্গে থাকা ক্যামেরায় তুলছেন ছবি। অনেকে আগ্রহ নিয়ে তার সঙ্গেও ছবি তুলছেন। শুভ নববর্ষ বলে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। হোছেও চেষ্টা করছেন একইভাবে তাদেরও শুভেচ্ছা জানাতে। ভাঙা ভাঙা বাংলায় বলছেন, ‘শুব নবো বরষহো।’
হোছে বলেন, ‘আমি এখানে অনেক রঙ দেখেছি। জীবন এখানে অনেক সুন্দর। এভাবে উৎসব উদযাপন আগে দেখিনি। অসাধারণ অনুভূতি। এ দেশের মানুষ অসাধারণ।’