নদী দখল-দূষণমুক্ত ও নাব্য ফেরাতে মহাপরিকল্পনার খসড়া চূড়ান্ত

সচিবালয়ে ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর দূষণরোধ ও নাব্যতা ফিরিয়ে আনার খসড়া মহাপরিকল্পনা চূড়ান্ত করার উপলক্ষে বৈঠকে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম। ( ছবি: ফোকাস বাংলা)

আগামী ১০ বছরের মধ্যে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীসহ ঢাকার চারপাশের নদীগুলো দখল, দূষণমুক্ত করা ও নাব্য ফিরিয়ে আনতে একটি মহাপরিকল্পনার (মাস্টার প্ল্যান) খসড়া চূড়ান্ত করেছে সরকার।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সচিবালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগে এ সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক শেষে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, টেমস নদী এক সময় দূষিত হয়ে গিয়েছিল, গার্বেজ ডাম্পিং সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হতো। সেই টেমস নদীকে আগের স্থানে ফিরিয়ে আনতে ৫০ থেকে ৫৫ বছর লেগেছে। আমরা যে মাস্টার প্ল্যানটি করেছি সেটাতে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম, স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে মহাপরিকল্পনাটি করা হয়েছে। এর মধ্যে আমাদের লক্ষ্য ১০ বছর। প্রাথমিকভাবে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চলছে। আপনারা দেখেছেন নদী দখল যেগুলো হচ্ছে তা মুক্ত করা হচ্ছে। এগুলো উদ্ধারের পর নদী তীরে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে। এরপর ওয়াসার নেতৃত্বে স্যানিটেশনের কাজ শুরু হবে। ঢাকা শহরের স্যুয়ারেজ লাইন ঠিক করা হবে, যাতে নদীতে কোনও দূষিত পানি না যায়।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘নদীর পুরো নাব্য ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা ১০ বছরের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছি। নদীকে ড্রেজিং করতে হবে। পলি পড়ে নদীর বেডগুলো উঁচু হয়ে গেছে, সেগুলোকে আগের জায়গায় নিতে হবে। পানি দূষিত হয়ে গেছে, পানি ট্রিট করতে হবে। পানিতে আর যাতে দূষিত পদার্থ না যায় সেজন্য সোর্সগুলোকে বন্ধ করতে হবে।’

মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের ব্যয় সম্পর্কে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়টি নিয়ে ওয়ার্কিং গ্রুপ কাজ করে পরে জানাবে। এখনই বলা সম্ভব হবে না।’

মন্ত্রী বলেন, নদীমাতৃক বাংলাদেশের নদীগুলোকে দূষণমুক্ত করতে হবে, নাব্য ফেরাতে হবে। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে, পদাধিকার বলে মন্ত্রী হিসেবে আমি সেই কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছি। এরইমধ্যে কমিটি একটি খসড়া মাস্টারপ্ল্যান (মহাপরিকল্পনা) করেছে, সেই মাস্টার প্ল্যানের ওপর আলোচনা করে আজকে নীতিগতভাবে সেটি অনুমোদন করেছি।

তিনি আরও বলেন, ‘একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুমোদিত খসড়া মাস্টার প্ল্যানটি উপস্থাপন করা হবে। এ বিষয়ে উনি অনেক আন্তরিক, বিষয়টাকে তিনি অনেক গুরুত্ব দেন, এ বিষয়ে তার অনেক তথ্য জানা আছে। যদি কোথাও ইনপুট দেওয়া দরকার মনে করেন, সংযোজন করা দরকার মনে করেন, তিনি সেটা করবেন।’