লিবিয়ায় যুদ্ধপরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় নিরাপদ আশ্রয়ে ৩০০ বাংলাদেশি





আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সমর্থিত সরকারপন্থী বাহিনীর টহল। ত্রিপোলির উপকণ্ঠ থেকে ছবিটি সম্প্রতি তোলা। (রয়টার্স)

লিবিয়ায় যুদ্ধপরিস্থিতি খারাপের দিকে মোড় নেওয়ায় প্রায় ৩০০ বাংলাদেশিকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। গত ৪ এপ্রিল থেকে খলিফা হাফতার ত্রিপোলি দখলে আক্রমণ চালাচ্ছেন। তাকে প্রতিরোধের চেষ্টা চালাচ্ছে সরকারি বাহিনী। এ অবস্থায় বাংলাদেশিদের নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হলো।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘রাজধানী ত্রিপোলি এবং এর আশপাশে প্রায় পাঁচ হাজার বাংলাদেশি থাকেন। এরমধ্যে ৩০০ জন যুদ্ধক্ষেত্রের খুব কাছে অবস্থান করছিলেন। এ জন্য আমরা তাদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়েছি।’
এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সেখানে আমাদের দূতাবাস একটি হটলাইন সংযোগ স্থাপন করেছে এবং বাংলাদেশিদের সহায়তা দিচ্ছে।’
লিবিয়ার আরেক বড় শহর বেনগাজিতে বাংলাদেশিদের কী অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেখানে সবাই নিরাপদে আছেন। যুদ্ধ হচ্ছে ত্রিপোলি এবং এর আশপাশের অঞ্চলে।’
গত ৪ এপ্রিল থেকে খলিফা হাফতার ত্রিপোলি দখল করার জন্য আক্রমণ চালাচ্ছেন। তাকে প্রতিরোধের চেষ্টা করছেন সরকারপন্থী বাহিনী। বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এ সংঘাতে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন ছয় শতাধিক মানুষ।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই আক্রমণের ফলে আট লাখের মতো উদ্বাস্তু বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়তে পারে।
সরকারের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে তৎপর। যদি প্রয়োজন হয় আমরা জাতিসংঘের মাধ্যমে বাংলাদেশিদের নিরাপদ অঞ্চলে সরিয়ে নেবো।’
তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি যদি আরও খারাপের দিকে মোড় নেয় তবে আমরা আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মাধ্যমে বাংলাদেশিদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসবো।’
এর আগে ২০১১ সালে লিবিয়ার নেতা কর্নেল গাদ্দাফির বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু হলে আইওএমের সাহায্যে প্রায় ৪০ হাজার বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল।