শ্রীলঙ্কায় নাতি হারানো শেখ সেলিমকে প্রধানমন্ত্রীর সান্ত্বনা

ব্রুনাই সফর শেষে দেশে ফিরে বিমানবন্দরে সদ্য নাতি হারানো শেখ সেলিমকে সান্ত্বনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ব্রুনাই থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) যখন ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন তখন তাকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য সরকারি দলের মন্ত্রী এমপিদের মধ্যে ছিলেন শ্রীলঙ্কায় সিরিজ হামলায় নাতি হারানো শেখ ফজলুল করিম সেলিমও। প্রধানমন্ত্রীকে দেখেই অঝোরে কেঁদে ফেলেন তিনি। আপন ফুপাতো ভাইয়ের এমন দুঃসংবাদে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি প্রধানমন্ত্রীও। নিহত নিষ্পাপ শিশু জায়ান তো তারও নাতি। তাই ভাইয়ের কাঁধে হাত রেখে ভারাক্রান্ত মনে সান্ত্বনা দিয়েছেন তিনি।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত একাধিক সূত্র এ কথা নিশ্চিত করেছেন।

সূত্র জানায়, বিমানবন্দরে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ সেলিম এমপিকে দেখার পর প্রধানমন্ত্রী তার দিকে এগিয়ে আসেন। তিনি শেখ সেলিমের গুরুতর আহত জামাতা মশিউল হক চৌধুরীর অবস্থা সম্পর্কে জানতে চান এবং নাতি  জায়ান চৌধুরী নিহত হওয়ায় তাকে সান্ত্বনা দেন এবং সমবেদনা জানান। এসময় উভয়েই আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠেন। শেখ সেলিম অঝোরে কেঁদে ফেলেন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখও ছিল বেদনায় ভারাক্রান্ত। তিনি শেখ সেলিমের কাঁধে হাত রেখে সমবেদনা জানান। দুই ভাই-বোন মিলে বেশ কিছু সময় কথা বলেন। পরে ভাইয়ের হাত ধরে লাউঞ্জ থেকে বের যান তিনি।

নাতি হারানো ফুপাতো ভাই শেখ ফজলুল করিম সেলিমকে সান্ত্বনা দিতে তার হাত ধরে ভিআইপি লাউঞ্জ থেকে বেরিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে ব্রুনাই থেকে দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা। 

প্রসঙ্গত, শেখ ফজলুল করিম সেলিম শেখ হাসিনার ফুফাত ভাই। তিনি বয়সে শেখ হাসিনার বড়। গত রবিবার (২১ এপ্রিল) শ্রীলঙ্কায় সিরিজ বিস্ফোরণে বিপুল হতাহতের মধ্যে তার নাতি জায়ান চৌধুরী নিহত হন, আহত হন জামাতা। শ্রীলঙ্কায় বেড়াতে গিয়ে এ ঘটনার শিকার হন তারা। বুধবার শিশু জায়ান চৌধুরীর মরদেহ দেশে নিয়ে আসার কথা রয়েছে।