‘যুক্তরাজ্য থেকে অপরাধীদের ফেরত পাঠানো স্পর্শকাতর বিষয়’

 

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব স্যার সাইমন ম্যাকডোনাল্ড

যুক্তরাজ্য থেকে অপরাধীদের ফেরত পাঠানো একটি স্পর্শকাতর বিষয় হিসেবে উল্লেখ করেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্র সচিব স্যার সাইমন ম্যাকডোনাল্ড। বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য তৃতীয় কৌশলগত সংলাপের পরে ঢাকায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে এক লেকচারে তিনি একথা বলেন। কৌশলগত সংলাপে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক।

লেকচারে তাকে প্রশ্ন করা হয় যুক্তরাজ্যের শিথিল নীতির কারণে অনেক অপরাধী সেখানে আশ্রয় নেয় এবং তাদের ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্য কী আলোচনা হয়েছে। জবাবে সাইমন বলেন, ‘এটি একটি স্পর্শকাতর বিষয়। কিন্তু এই বিষয়ে ঢাকা ও লন্ডনের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক আছে। অনেক ক্ষেত্রে অনেক বিষয় হঠাৎ করে সামনে চলে আসে এবং দুই দেশের বিভিন্ন এজেন্সি ও দূতাবাসের সম্পর্কের কারণে এগুলোর প্রায় ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে আমরা কোনও ঝামেলা ছাড়াই সমাধান করতে পেরেছি।’

উল্লেখ্য, বিএনপি নেতা তারেক জিয়া, যুদ্ধাপরাধী চৌধুরী মাইনউদ্দিনসহ অনেক বাংলাদেশি যুক্তরাজ্যে পলাতক রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।

এর আগে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য দ্বিতীয় কৌশলগত সংলাপে বিষয়টি আলোচিত হয়েছে এবং যুক্তরাজ্য এই বিষয়ে সহায়তা দিতে বাংলাদেশকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ওই সংলাপের যৌথ বিবৃতিতে এ বিষয়ে বলা হয়েছিল, ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্তরা সীমান্ত অতিক্রম করলেও যেন বিচার থেকে রেহাই না পায় এবং বাংলাদেশি তদন্তকারী, প্রসিকিউটর এবং জুডিশিয়াল কর্তৃপক্ষকে যুক্তরাজ্য সহায়তা করবে। উভয়পক্ষ মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিসট্যান্স (আইনগত সহায়তা) এবং প্রত্যাবাসন অনুরোধে সহায়তার ক্ষেত্র আরও বেশি গভীর করবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়েছিল।

এদিকে, তৃতীয় সংলাপে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে বৈঠকে উপস্থিত একজন কর্মকর্তা বলেন, আনুষ্ঠানিক বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়নি। তবে আনুষ্ঠানিক বৈঠকের পরে এবং সংবাদ সম্মেলনের আগে পররাষ্ট্র সচিব এবং সাইমন অল্প সময়ের জন্য রাষ্ট্রীয় অথিতি ভবন পদ্মায় একটি রুদ্ধ-দ্বার বৈঠক করেন।