ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি ৭ হাজার ৭৪৮ মিলিয়ন ডলার

জাতীয় সংসদ ভবন (ছবি- সাজ্জাদ হোসেন)ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ৭ হাজার ৭৪৮ দশমিক ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের ৮৭৩ দশমিক ৩ মিলিয়ন ডলার রফতানির বিপরীতে আমদানির পরিমাণ ৮ হাজার ৬২১ দশমিক ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য সহিদুজ্জামানের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এসব তথ্য জানান। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর পর্বে বাণিজ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে প্রশ্নের জবাব দেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। 

মন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, সার্কভুক্ত অন্য দেশগুলির সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। এর মধ্যে পাকিস্তানের সঙ্গে ৪৭১ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার, ভুটানের সঙ্গে ২৭ দশমিক ৯ মিলিয়ন ডলার, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ১৬ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার, মালদ্বীপের সঙ্গে ১২ দশমিক ৯ মিলিয়ন ডলার ও আফগানিস্তানের সঙ্গে ২ মিলিয়ন ডলার।

ঢাকা-২০ আসনের বেনজীর আহমদের প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘দেশের সাড়ে ১৬ কোটি জনসংখ্যার জন্য প্রতিদিন ৫০৯ গ্রাম হিসেবে বছরে ৩০৬ লাখ ৫৫ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্যের চাহিদা আছে। গত ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ৩১৯ লাখ ২৬ হাজার মেট্রিক টন চাল ও ৯ লাখ ৩৪ হাজার মেট্রিক টন গম উৎপাদিত হয়েছে। বর্তমানে চাহিদার চেয়ে বেশি খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়। তাই খাদ্যের কোনও ঘাটতি নেই।

নওগাঁ-২ আসনের শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আসন্ন বোরো মৌসুমে কৃষকদের থেকে ২৬ টাকা কেজিতে দেড় লাখ মেট্রিক টন ধান ও চালকল মালিকদের থেকে ৩৬ টাকা কেজিতে দশ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ ও ৩৫ টাকা কেজি ধরে দেড় লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল সংগ্রহ করা হবে। ২৫ এপ্রিল থেকে এই সংগ্রহ শুরু হবে।’