বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সম্মেলন কক্ষে সেবা সহজীকরণ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
এ সময় গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘সেবা সহজীকরণের প্রক্রিয়া শুরু হলে আমরা মন্ত্রণালয়সহ প্রতিটি দফতরে একটা অভিযোগ বাক্স রাখবো। আমি শুনতে চাই কারা দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। জানতে চাই, কাদের কারণে মানুষ কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না। বুঝতে চাই, মানুষ কতোটা সেবা পাচ্ছে। কারণ, আমাদের দায়িত্ববোধের জায়গা আমরা এড়িয়ে যেতে পারি না।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘অনেক ভোগান্তির অভিযোগ আমার কাছে এসেছে। দেড় কাঠা বা পৌনে দুই কাঠা জমির মালিককে একটা বিক্রয় অনুমতি বা একটা মিউটেশনের জন্য অনেক কষ্ট করতে হয়। মানুষের ভোগান্তির অবসান ঘটাতে হবে, সেবাকে সহজ করতে হবে।’
জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সেবা প্রদানের ২৬টি পর্যায়ের বিন্যাস করা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সাধারণ মানুষের স্বার্থে সেবা সহজীকরণের প্রক্রিয়া আমরা শুরু করেছি। বাংলাদেশ সরকারের গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ই সেবা সহজ করার জন্য নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। এটা একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন’।
সরকার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান নয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রয়োজনে রাজউক ও জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষকে সরকার ভর্তুকি দেবে, কিন্তু জনগণের ঘাড়ে অতিরিক্ত ট্যাক্স চাপিয়ে তাদের কষ্ট বাড়ানো এবং তার ভেতর থেকে আমাদের সুবিধা নেওয়া, এটা কাঙ্ক্ষিত নয়।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘স্বচ্ছতার ব্যাপারে অনাকাঙ্ক্ষিত অনেক অভিযোগে আমরা জর্জরিত। সেজন্য স্বচ্ছতার জায়গায় আসার জন্য আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি। জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষে ১ জুন থেকে এবং রাজউকে ১ মে থেকে সব ব্যবস্থাকে আমরা অটোমেশন অর্থাৎ ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিয়ে আসছি। বাড়িতে বসে ল্যাপটপের মাধ্যমে অনলাইনে প্ল্যান সাবমিট করা যাবে।’