সরকারের একজন কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আগের সংলাপগুলিতে আমরা প্রথাগত প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছি। কিন্তু এবার আমরা এর পরিধি বাড়াতে চাই এবং অপ্রথাগত বিষয় যা মানুষের নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত এমন বিষয় নিয়েও আলোচনা করবো।’
তিনি বলেন, ‘খাদ্য নিরাপত্তা, জ্বালানি নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাসহ অন্যান্য বিষয় মানুষের মঙ্গলের জন্য সরাসরি জড়িত এবং এই বিষয়গুলি নিয়ে আমরা বৃহস্পতিবারের বৈঠকে এবং পরবর্তীতে আলোচনা করতে আগ্রহী।’
বৃহস্পতিবারের বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ফেরদৌসি শাহরিয়ার এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি মাইকেল মিলার নিজ নিজ দেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন।
সরকারেরর আরেকজন কর্মকর্তা জানান, রোহিঙ্গা, প্রতিরক্ষা বাণিজ্য, প্রশিক্ষণসহ মিলিটারি সহযোগিতা, কাউন্টার টেরোরিজম, উগ্রবাদ প্রতিহতকরণ এবং প্রস্তাবিত চুক্তির অগ্রগতি নিয়েও দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হবে।
শ্রীলঙ্কার কলম্বোয় সন্ত্রাসী হামলার পরে দুই দেশের মধ্যে এ বিষয়ে সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি পাবে বলেও তিনি জানান।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা তাদের বলবো, রোহিঙ্গারা সন্ত্রাসী সংগঠনের সহজ শিকার হতে পারে এবং এই সমস্যা যত দ্রুত সমাধান করা যায়, সেজন্য ওয়াশিংটনের আমাদের সহায়তা করা উচিত।’
তিনি জানান, ওয়াশিংটন কয়েকটি চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে এবং এ বিষয়ে কতদূর অগ্রগতি হয়েছে এবং কীভাবে অগ্রসর হওয়া যায়, সে বিষয়ে দুই পক্ষ আলোচনা করবে।