গণমাধ্যমের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করা হয়নি: তথ্যমন্ত্রী

প্রেসক্লাবে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন হাছান মাহমুদসরকারের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমের ওপর গত এক-দুই বছরে কোনও ধরনের বাড়তি চাপ সৃষ্টি করা হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। বৃহস্পতিবার (২ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে জাতীয় প্রেসক্লাব আয়োজিত ‘বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস’ উপলক্ষে 'গণমাধ্যম চিত্র: পরিপ্রেক্ষিত বাংলাদেশ' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘আজকে গণমাধ্যমের সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক অনেক চমৎকার। তার প্রমাণ হচ্ছে, আজকের আলোচনায় আপনারা আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আমার সামনে সরকারকে নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। বিতর্ক বা সমালোচনা ছাড়া কোনও রাষ্ট্র সঠিকভাবে এগুতে পারে না।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মালিকপক্ষের স্বার্থরক্ষার কারণে সাংবাদিকরা কাজ করতে পারছে না। উগ্রবাদীদের হুমকি, নিউ মিডিয়ার আগ্রাসী থাবায় সাংবাদিকদের কাজ করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। চাকরির নিশ্চয়তা না থাকায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে।’

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘অনলাইন মাধ্যম ১০ বছর আগে ছিল না এবং ১৫ বছর আগে একদম অনুপস্থিত ছিল। ১০ বছর আগে থেকে আমরা বাস্তবতার সঙ্গে মোকাবিলা করছি। ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য সব দেশে আইন করা হচ্ছে, এ দেশেও আইন করা হয়েছে।’

সাংবাদিকদের প্রতিনিধি হয়ে কাজ করছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছি চার মাস পূর্ণ হয়নি এখনও। আমি প্রথম থেকে চেষ্টা করছি, আপনাদের একজন প্রতিনিধি হয়ে কাজ করার জন্য। বিগত কয়েক বছরে গণমাধ্যমের যে বিকাশ হয়েছে, এটার সঙ্গে নানা ধরনের সমস্যা যুক্ত হয়েছে। বড় বড় করপোরেট হাউজগুলো সংবাদপত্র খুলেছে। সেটি ভালো, কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে।’

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘স্বাধীনতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি দায়িত্বশীলতাও নিশ্চিত করা প্রয়োজন। আমাদের দেশে ভুল সংবাদ পরিবেশনের জন্য কোনও পত্রিকা বন্ধ হয় না। ভুল তথ্য প্রদান করার জন্য পুরো টিমকে পদত্যাগ করতে হয়েছে, এমন ঘটনা কখনও ঘটেনি। ইউকে'তে সম্ভবত ১৬৭ বছরের পুরনো পত্রিকা, একটি ভুল সংবাদ পরিবেশনের জন্য বন্ধ হয়।’ আমি মনে করি, গণমাধ্যম বিকাশের পাশাপাশি দায়িত্বশীলতা নিশ্চিতকরণের জন্য আমাদের সম্মিলিতভাবে কাজ করা প্রয়োজন।’

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকী, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, গাজী টিভির নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম, সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, সাবেক সভাপতি কামরুল ইসলাম প্রমুখ।