বুধবার (১৫ মে) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় জানানো হয়, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী দেবেন। এ উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মুসলিম দেশের কূটনীতিকদের দাওয়াত দেবে। সরকারি, আধা-সরকারি ভবন, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ভবন ও সশস্ত্র বাহিনীর সব স্থাপনায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। ঈদুল ফিতরের দিবাগত রাতে নির্দিষ্ট সরকারি ভবন ও সামরিক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আলোকসজ্জা করা হবে।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশের সব হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশু সদন, বৃদ্ধ নিবাস, ছোটমনি নিবাস, সামাজিক প্রতিবন্ধী কেন্দ্র, আশ্রয় কেন্দ্র, সেইফ হোমস, ভবঘুরে কল্যাণ কেন্দ্র, দুঃস্থ কল্যাণ ও মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও মিশনগুলোতে যথাযথভাবে ঈদুল ফিতর উদযাপন করবে।
সভায় জানানো হয়, ঈদের দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনাটিকেটে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) আওতাধীন সব শিশু পার্কে ঢুকতে দেওয়া হবে। বিনা টিকেটে তারা ঢাকা যাদুঘর, আহসান মঞ্জিল, লালবাগের কেল্লা ইত্যাদি দর্শনীয় স্থানও ঘুরে দেখতে পারবে। বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে শিশুদের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে বলেও সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ছে।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, ধর্ম বিষয়ক, জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, স্থানীয় সরকার বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ, শিক্ষা, তথ্য, গৃহায়ন ও গণপূর্ত, সংস্কৃতি বিষয়ক, বস্ত্র ও পাট, মহিলা ও শিশু বিষয়ক, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়সহ ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দফতর ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।