সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বেড়ে ১১৪





রয়েল বেঙ্গল টাইগারসুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে। ‘স্টাটাস অব টাইগার ইন বাংলাদেশ সুন্দরবন-২০১৮’ জরিপ অনুযায়ী বর্তমানে বাঘ আছে ১১৪টি। ২০১৫ সালের জরিপে ১০৬টি বাঘের অস্তিত্বের কথা বলা হয়েছিল।
বুধবার (২২ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বন ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন জরিপের ফল প্রকাশ করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
পরিবেশ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জরিপের ফল জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘স্টাটাস অব টাইগার ইন বাংলাদেশ সুন্দরবন-২০১৮’ (সেকেন্ড ফেজ) নামের প্রতিবেদনের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘রয়েল বেঙ্গল টাইগার বাংলাদেশের সৌর্যবীর্যের প্রতীক। সারাবিশ্ব বাংলাদেশকে চেনে বাঘের দেশ হিসেবে। আমাদের জাতীয় ক্রিকেট টিমকে আমরা বলি ‘টিম টাইগার’। সেই বাঘকে রক্ষার জন্য ২০১০ সালে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে বিশ্বের বাঘ আছে এমন দেশগুলোর সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগদান করে বাঘের সংখ্যা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। আমরা তা পূরণ করতে পেরেছি।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান জরিপে বাঘের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৪টিতে। আশা করি, আমাদের সময়োপযোগী তৎপরতার মাধ্যমে আমরা অদূর ভবিষ্যতে এ সংখ্যা আরও বাড়াতে পারবো।’
ইউএসএইড-এর আর্থিক সহযোগিতায় বেঙ্গল টাইগার কনজারভেশন অ্যাকটিভিটি প্রকল্পের আওতায় দ্বিতীয় পর্যায়ে সুন্দরবনে ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ের মাধ্যমে বাঘ গণনার কার্যক্রম শুরু হয় ২০১৬ সালের ১ ডিসেম্বর। ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত চারটি ধাপে সুন্দরবনের সাতক্ষীরা, খুলনা ও শরণখোলা রেঞ্জের তিনটি ব্লকের ১ হাজার ৬৫৬ বর্গ কিমি এলাকায় বিশেষ একধরনের ক্যামেরা ব্যবহার করে এ জরিপ করা হয়। জরিপে ৬৩টি পূর্ণবয়স্ক বাঘ, ৪টি জুভেনাইল বাঘ এবং ৫টি অপ্রাপ্ত বয়স্ক বাঘের মোট ২ হাজার ৪৬৬টি ছবি পাওয়া যায়। সুন্দরবনে বাঘের বিচরণ ক্ষেত্র ৪ হাজার ৪৬৪ কিমি। বাঘের ঘনত্ব বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে, শরণখোলা রেঞ্জে বাঘের ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি (৩.৩৩ বাঘ ১০০ বর্গ কিমি) এবং খুলনা রেঞ্জে সবচেয়ে কম (১.২১ বাঘ ১০০ বর্গ কিমি)।
২০১৫ সালে সুন্দরবনে ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো বাঘ গণনার কার্যক্রম শুরু হয়। ওই হিসাব অনুযায়ী বাঘের ঘনত্ব ছিল প্রতি ১০০ বর্গ কিমিতে ২.১৭টি এবং মোট বাঘ ছিল ১০৬টি।
বন অধিদফতরের সঙ্গে যৌথভাবে এ জরিপ কাজে অংশ নেয় ইউএসএ’র একটি প্রতিষ্ঠান এবং প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রধান বন সংরক্ষক সফিউল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, পরিবেশ সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী।