ঈদ শেষে ঢাকায় ফিরছে কর্মজীবী মানুষ

শুক্রবার সকালে সদরঘাট লঞ্চটার্মিনালের দৃশ্যপ্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ উপভোগের পর ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে কর্মজীবী মানুষ। ছুটির এখনও দু’দিন বাকি থাকলেও যাত্রাপথে ভোগান্তি এড়াতে অনেকেই ঢাকায় আসছেন। তবে ঈদের ছুটিতে ডিউটি করে গ্রামে ফিরতে দেখা গেছে অনেককে। শুক্রবার (৭ জুন) সকাল থেকে রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চটার্মিনাল, কমলাপুর রেলস্টেশন ও কয়েকটি বাসস্ট্যান্ড ঘুরে এমন চিত্র চোখে পড়েছে।

পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সকালে ঢাকায় ফেরা যাত্রীদের চাপ কিছুটা কম থাকলেও বিকালের দিকে চাপ বাড়ে। শনিবার এই চাপ আরও বাড়বে। ছুটি শেষে আগামী রবিবার থেকে কর্মমুখর হয়ে উঠবে রাজধানী।

শুক্রবার সকালে কমলাপুর রেলস্টেশনের দৃশ্যসকালে সদরঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, যাত্রীদের চাপ কম। সরকারের একটি সংস্থায় চাকরি করেন ভোলার মনপুরা উপজেলার বাসিন্দা খন্দকার মিল্লাত। শুক্রবার ঢাকায় ফিরেছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘রবিবার থেকে অফিস শুরু হবে। আগামীকাল থেকে মানুষের ব্যাপক চাপ থাকবে। লঞ্চের কেবিন ফাঁকা নেই। সে জন্য দুর্ভোগ এড়াতে আগেই চলে এলাম।’

এদিকে, কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে যাত্রীদের তেমন চাপ নেই। তবে যারা আসছেন, তাদের মধ্যে সরকারি ও সেবা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীই বেশি। এছাড়া নিম্ন আয়ের মানুষকেও ফিরতে দেখা গেছে। তবে রাজধানীতে ফেরাদের মধ্যে পোশাক শ্রমিকদের তেমন একটা দেখা যায়নি।

শুক্রবার সকালে সদরঘাট লঞ্চটার্মিনালের দৃশ্যরংপুর থেকে আসা ট্রেনের যাত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এবার বেশ কয়েকদিন গ্রামে ছুটি কাটিয়েছি। এ জন্য প্রথম কর্মদিবস থেকেই অফিসে যোগ দিতে চাই। তাই একটু আগেই চলে এসেছি। তাছাড়া কাল থেকে ট্রেনে তো ভিড় বাড়বে।’ তিনি বলেন, ‘ঢাকার আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গেও ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে হবে। এটাও আগে আসার আরেকটি কারণ।’

খবর নিয়ে জানা গেছে, সড়ক পথেও ঢাকায় ফিরছে মানুষ। টার্মিনালগুলোতে ঢাকায় ফেরা মানুষের উপস্থিতি বাড়ছে। সড়ক পথের দুর্ভোগ এড়াতে সময় হাতে রেখে একটু আগেই রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন নগরবাসী।

রাজধানীর গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে কথা হয় এক্সপ্রেসের সহকারী ম্যানেজার রেজাউল মোল্লা রাজুর সঙ্গে। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘যাত্রীদের চাপ এখনও নেই। আগামীকাল থেকে বেশি চাপ হবে।’