বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির প্রশংসা করলেন তাজিক প্রেসিডেন্ট

তাজিক প্রেসিডেন্টের সঙ্গে রাষ্ট্রপতিতাজিকিস্তানের প্রেসিডেন্ট এমোমালি রহমোন বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক খাতের দ্রুত উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রশংসা করেছেন। আগামীতে ভ্রাতৃপ্রতীম দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।
প্রেসিডেন্ট এমোমালি বৃহস্পতিবার রাতে তার কার্যালয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে স্বাগত জানান। এরপর কাউন্টার টেরোরিজম এবং সমম্বিত অভিযানের ব্যাপারে একত্রে কাজ করার আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তাজিকিস্তানে কনফারেন্স অন ইন্টারএ্যাকশন অ্যান্ড কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজার্স ইন এশিয়ার (সিআইসিএ) পঞ্চম সম্মেলনে যোগ দিতে সরকারি সফরে এখন দুশানবে নগরীতে রয়েছেন।
তাজিক প্রেসিডেন্ট তৈরি পোশাক খাতকে (আরএমজি) একটি সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে উল্লেখ করে এ খাতে যৌথ বিনিয়োগে একত্রে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিন এ কথা জানান।
ব্যবসা বাণিজ্য জোরদারের কথা তুলে ধরে তাজিক প্রেসিডেন্ট উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময় বিশেষ করে দুই দেশের ব্যবসায়ী নেতাদের সফর বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বৈঠককালে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে তাজিকিস্তানের সহযোগিতা চান এবং তাজিক প্রেসিডেন্ট সম্ভাব্য সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
বাংলাদেশ বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদন করে একথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক, ওষুধ, পাট ও পাটপণ্য আমদানির জন্য তাজিকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সব সময় জিরো টলারেন্স নীতি প্রদর্শন করে আসছে।
উভয় নেতা আশা প্রকাশ করেন, দু’টি দেশ টেকসই উন্নয়ন ও অগ্রগতির লক্ষ্যে এক সঙ্গে কাজ করবে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন,তাজিক পররাষ্ট্র মন্ত্রী সিরোজিদ্দিন মুহরিদ্দিন,সেক্রটারি বাইলেটারাল অ্যান্ড কনসুলার কামরুল আহসান,কূটনৈতিক এবং সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপতি তাজিকিস্তান এবং উজবেকিস্তানে সাতদিনের সফরে রয়েছেন। আগামী ১৯ জুন তিনি দেশে ফিরবেন। খবর বাসস।