প্রতিটি জিনিসের ভালো ও খারাপ দু’টি দিকের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসের ধরন বদলাচ্ছে, নতুন প্রযুক্তি যেমন আমাদের উন্নয়নের যাত্রাপথকে সুগম ও গতিশীল করে দেয়, তেমনি যারা সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ, অসামাজিক কাজসহ নানা অপরাধে জড়িত, তাদের ক্ষেত্রেও নতুন সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নতুন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন হওয়ায় আমাদের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটছে, জীবনযাত্রাকে অগ্রগামী করছে। উন্নয়নের ধারাকে অগ্রগামী করছে। পাশাপাশি নানা ধরনের ঝুঁকিরও সৃষ্টি করছে।’ এ সময় এসএসএফ সদস্যদের আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন হয়ে গড়ে উঠে এই প্রযুক্তিকে যারা মন্দ কাজে ব্যবহার করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি বা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যারা আমাদের সমর্থন দেয়নি, তাদের চক্রান্ত, কুটিলতা, জটিলতা থাকবে। কিন্তু সেগুলো মোকাবিলায় আমাদের সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নিতে হবে। সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। আমরা সেটাই চাই।’ এ সময় মাদকের ভয়াবহতা রোধে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এসএসএফের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মজিবুর রহমান। এই সময় তিনি এই বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর বিভিন্ন কর্মকাণ্ড বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন।
এ সময় মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, তিন বাহিনী প্রধান, মুখ্য সচিবসহ সংশ্লিষ্ট সচিব, পদস্থ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা ও এসএসএফের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান এবং সরকার কর্তৃক ঘোষিত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নিরাপত্তার জন্য ১৯৮৬ সালে রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তা বাহিনী গঠিত হয়। পরবর্তী সময়ে এই বাহিনীকে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) হিসেবে নতুন নামকরণ করা হয়। বাংলাদেশ সেনা, নৌ, বিমান, পুলিশ ও আনসার বাহিনী থেকে প্রেষণে নিযুক্ত অফিসারদের নিয়ে এই বাহিনী গঠন করা হয়।
সূত্র: বাসস