নাম বদলে যাচ্ছে ট্যারিফ কমিশনের

প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক, ছবি: ফোকাস বাংলাট্যারিফ কমিশনের নাম বদলে করা হচ্ছে ‘বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন’। সোমবার (১৭ জুন) মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সংক্রান্ত আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের একথা জানিয়েছেন।  

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

সচিব বলেন, বৈঠকে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন (সংশোধন) আইন ২০১৯ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। ১৯৭২ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে ট্যারিফ কমিশন গঠিত হয়। ১৯৭৩ সালে সরকারি এক রেজ্যুরেশন বলে এটি পরিচালিত হয়। ১৯৯২ সালে ট্যারিফ কমিশন পরিচালনার জন্য একটি আইন করা হয়। ১৯৯২-২০১৯ সাল এই দীর্ঘ সময়ে অনেক কিছুর প্রেক্ষাপটের পরিবর্তন হওয়ায় আইনের কিছু ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এজন্য আইনটি সংশোধন করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক, ছবি: ফোকাস বাংলা

তিনি আরও বলেন, নতুন আইনে চারটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রথম নাম ট্যারিফ কশিনের নাম পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন’ করা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, ‘৯২ সালের ৭ ধারায় কাজের যে পরিধি ছিল নতুন আইনে তা বাড়ানো হয়েছে। তৃতীয়ত, পুরনো আইনের ৮ ধারায় পরিবর্তন এনে এই প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা-কর্মচারী তথ্যের গোপনীয় রক্ষা করতে বাধ্য করা হয়েছে। কারণ ভেতরের তথ্য ফাঁস হলে বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক ক্ষতি হবে। চতুর্থত, পুরনো আইনের ১২ ধারায় বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি প্রয়োজনে গবেষণা কাজ পরিচালনার জন্য কনসালটেন্টে এবং রিসার্চ পারসন আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ করতে পারবে।