শাহজালালের নিরাপত্তায় স্থাপন হবে আরও যন্ত্রপাতি

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানোর জন্য নতুন করে আরও যন্ত্রপাতি স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জাপানের জাইকা’র  আর্থিক সহায়তায় এসব যন্ত্রপাতি কেনা হচ্ছে। এ জন্য ৫৯ কোটি ৬২ লাখ টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

বেবিচক সূত্রে জানা গেছে, নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ২০১৬ সালের মার্চে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি কার্গো ফ্লাইট পরিচালনার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল যুক্তরাজ্য। সেসময় ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান রেডলাইনের পরামর্শে শাহজালাল বিমানবন্দরে বসানো হয় বিভিন্ন নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি। যাত্রীদের লাগেজ তল্লাশি, যানবাহন তল্লাশি, তরল বিস্ফোরক শনাক্তকরণে আলাদা আলাদা যন্ত্র কেনে বেবিচক। সেসময়ে ডুয়েল ভিউ এক্স রে স্ক্যানিং মেশিন ৮টি, হ্যান্ড ব্যাগ তল্লাশির জন্য ডুয়েল ভিউ স্ক্যানিং মেশিন ১৪টি, লিকুয়িড এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশন সিস্টেম (এলইডিএস) ৬টি, আন্ডার ভেহিকল স্ক্যানিং সিস্টেম (ইউভিএসএস) ৯টি, ফ্যাপ বেরিয়ার গেট উইথ কার্ড রিডার ৪টি, বেরিয়ার গেট উইথ আরএফআইডি কার্ড রিডার ৫টি, এক্সপ্লোসিভ  ডিটেকশন সিস্টেম (ইডিএস) ২টি, এক্সপোসিভ ট্রেস ডিটেকশন (ইটিডি) ৪টি স্থাপন করা হয়। সেসময়ে কেনা বেশিরভাগ যন্ত্রপাতি লন্ডন ফ্লাইট ও রফতানি কার্গো ভিলেজে ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে এখনও বিমানবন্দরের কোথাও কোথাও পুরাতন যন্ত্রপাতি ব্যবহার হচ্ছে।

সূত্র জানায়, সম্প্রতি জাইকা বেবিচককে নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি কেনার অনুদানের প্রস্তাব দেয়। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্পে জাপানি উন্নয়ন সংস্থাটি ৫৪ কোটি ১০ লাখ টাকা অনুদান দেবে। তবে এসব সরঞ্জাম কেনাকাটার দরপত্র আহ্বান হতে স্থাপন পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়া তদারকি করবে জাইকা।

এ প্রসঙ্গে বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল নাঈম হাসান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন,  জাইকা আমাদের অনুদান দিচ্ছে, সেটি দিয়ে নিরাপত্তার ইকুইপমেন্ট কেনা হবে।  এতে বিমানবন্দরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে।