দ্রুত বিচার আইন আরও ৫ বছর চালু রাখতে সংসদে বিল






সংসদ অধিবেশনবহুল আলোচিত দ্রুত বিচার আইন আরও ৫ বছর চালু রাখতে সংসদে বিল তোলা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জমান খান কামাল মঙ্গলবার (২৫ জুন) ‘আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) বিল-২০১৯’ সংসদে উত্থাপন করেন।
পরে এটি পরীক্ষা করে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
২০০২ সালে দ্রুত বিচার আইন সংসদে পাস হয়। তখন এর মেয়াদ ছিল ২ বছর। পরে ৬ বারে মোট ১৫ বছর আইনটির মেয়াদ বাড়ানো হয়। সবশেষ ২০১৪ সালে ৫ বছর বাড়ানো হয়। গত ৯ এপ্রিল এই মেয়াদ শেষ হয়েছে।
বিদ্যমান আইনে বলা হয়েছে, এই আইন আগামী ১৭ বছর পর্যন্ত চলবে। এখন ১৭-এর স্থলে সংশোধন করে ২২ বসানো হচ্ছে। ২০০২ সাল থেকে ২২ বছর হয় ২০২৪ সাল পর্যন্ত। অর্থাৎ আইনটি পাস হলে ২০২৪ সাল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে দ্রুত বিচার আইন করা হয়। তখন বিরোধী দলে থাকা আওয়ামী লীগ এর কঠোর সমালোচনা করেছিল।
এরপরও বিভিন্ন সময়ে আইনের মেয়াদ বাড়ানো হয়; আওয়ামী লীগ সরকারও আইনটি রেখে দিচ্ছে।
আইনটি প্রণয়নের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছিল, চাঁদাবাজি, যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি, যানবাহনের ক্ষতি সাধন, স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিনষ্ট, ছিনতাই, দস্যুতা, ত্রাস ও সন্ত্রাস সৃষ্টি, অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি, দরপত্র কেনায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ বিভিন্ন অপরাধ দ্রুততার সঙ্গে বিচারের জন্য এ আইন।
এ আইনে দোষী প্রমাণিত হলে ২ থেকে ৫ বছর সশ্রম জেল ও জরিমানা হতে পারে। প্রতি জেলায় গঠিত এক বা একাধিক দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এ আইনে দায়ের মামলার বিচার চলে।
দ্রুত বিচার আইনে ১২০ দিনের মধ্যে বিচারকাজ নিষ্পত্তি করার বিধান আছে। এর মধ্যে নিষ্পত্তি করা না গেলে আরও ৬০ দিন সময় পাওয়া যায়।