নদী রক্ষা সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী (ফাইল ফটো)নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের চ্যালেঞ্জ ছিল বিদ্যুতের উন্নয়ন। ২০১৯ সালে এ সরকারের চ্যালেঞ্জ হলো নদী রক্ষা করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক্ষেত্রে ব্যাপক গুরুত্ব দিয়েছেন। সে গুরুত্ব অনুধাবন করে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন যেসব পদক্ষেপ নেবে, সেগুলো বাস্তবায়নে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় কাজ করবে।’
বুধবার (২৬ জুন) রাজধানীর তোপখানায় সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘নদীর পানি ও পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন আয়োজিত কর্মশালায় কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন সচিব মো. আবদুস সামাদ, শিল্প সচিব মো. আবদুল হালিম, পিকেএসএফ-এর চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রোখসানা কাদের, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সদস্য শারমিন সোনিয়া মুরশিদ ও মো. আলাউদ্দিন।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নদী রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। এর জন্য জনসচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু ও শীতলক্ষ্যা নদী উদ্ধারে অনেক বাধা এসেছে। এক্ষেত্রে আমরা কোনও ধরনের কমপ্রোমাইজ করিনি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা নদী উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছি।’
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘গত ছয় মাসে মানুষের মধ্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও বালু নদীতে উচ্ছেদ অভিযানের সময় দেশের বিভিন্ন জেলায় মানুষ নদী রক্ষায় এগিয়ে এসেছে। আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা থাকলেও নদী রক্ষায় আন্তরিকতার কোনও কমতি নেই। ৭৫ পরবর্তী সময়ে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা ছিল না, এখন তা ফিরে এসেছে। উন্নয়নের ফসল সবাই ভোগ করছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সরকার ক্ষমতায় আছে বলে এত উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘নদী রক্ষা করতে হবে। এর জন্য সরকার জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন গঠন করেছে। বঙ্গবন্ধু পানি দূষণমুক্ত অধ্যাদেশ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে ধ্বংসস্তূপ থেকে মাত্র সাড়ে তিন বছরে প্রবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশে নিয়ে গিয়েছিলেন। দেশের উন্নয়নে বাস্তব ভিত গড়ে দিয়েছিলেন।’ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর নদীর গতির মতো দেশের গতি পরিবর্তন করা হয়েছিল বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।