খাদ্য অধিকার আইন প্রণয়নের দাবি


‘খাদ্য অধিকার আইন প্রণয়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা’শীর্ষক এক সংলাপে বক্তারা
দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অন্যান্য অংশ মানবেতর জীবনযাপন করে বলে মনে করেন সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিশিষ্টজনরা। তাদের মতে, এই দরিদ্র জনগোষ্ঠীর খাদ্য ও পুষ্টির দিকে বিশেষ মনযোগ দেওয়াসহ তা নিশ্চিতে খাদ্য অধিকার আইন প্রনয়ণ জরুরি। রবিবার (২১ জুলাই ২০১৯) ঢাকার পুরনা পল্টনে ইকনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) অফিস মিলনায়তনে ‘খাদ্য অধিকার আইন প্রণয়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা’শীর্ষক এক সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন।

ইকো কো-আপারেশনের সিভিক এনগেজমেন্ট এলায়েন্স প্রোগ্রাম ও ক্রিশ্চিয়ান-এইড-এর সহায়তায় খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ ও ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) এই সংলাপের আয়োজন করে।

সংলাপে বক্তারা বলেন, খাদ্য নিরাপত্তার জন্য সামাজিক নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি থাকার পরও দেশের অতিদরিদ্র ২ কোটি এবং দরিদ্র ২ কোটিসহ মোট ৪ কোটি মানুষ (২০১৬ সালের বিবিএস-এর তথ্য অনুযায়ী)। যার অর্ধেক বেশি কম ও অন্য অর্ধেক অল্প কম খেতে পায়। প্রধানত এ জনগোষ্ঠীই দরিদ্র বলে প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পুষ্টি পায় না। এদিকে, সমাজে আয়-বৈষম্যের কারণে শীর্ষ ১০ ভাগ ধনী পরিবারের আয় মোট জাতীয় আয়ের ৩৮ শতাংশ এবং নিম্ন অবস্থানকারী ১০ ভাগ অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠী মোট জাতীয় আয়ের মাত্র ১ শতাংশের মালিক। এ পরিস্থিতি দেশে সব মানুষের মৌলিক অধিকার, খাদ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা, বস্ত্র ও বাসস্থান প্রতিষ্ঠার বিষয়কে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন করে তুলেছে। এ কারণেই খাদ্য অধিকার আইন প্রণয়ন জরুরি বলেও তারা মনে করেন।

ইআরএফ’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সংলাপে খাদ্য অধিকার আইন প্রণয়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা বিষেয়ে উপস্থাপনা তুলে ধরেন খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ’র সাধারণ সম্পাদক ও ওয়েভ ফাউন্ডেশন-এর নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলী। সংলাপ অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম। সংলাপে বক্তব্য রাখেন, ইকো কোঅপারেশন’র লবি এ- অ্যাডভোকেসি এক্সপার্ট আরশাদ সিদ্দিকী, ইআরএফ’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান, রাজু আহমেদ, কাওসার আহমেদ, দৌলত আখতার মালা, রিয়াদ হোসেন, জুবায়ের ফয়সাল ও মনির হোসেন।