বন্যায় এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৭৫: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী





ডা. মো. এনামুর রহমানবন্যায় আক্রান্ত হয়ে দেশে এ পর্যন্ত ৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। রবিবার (২৮ জুলাই) দুপুরে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শাহ কামাল উপস্থিত ছিলেন।
এনামুর রহমান জানান, বন্যায় ৪৫টি গবাদিপশু ও ২২ হাজার ৩৩৯টি হাঁসমুরগি মারা গেছে। ছয় হাজার ৫৩টি পরিবার ও ৩৩ হাজার ৭৩৫টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চারটি বাঁধ সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে গেছে। বন্যাকবলিত হয়েছে ২৮টি জেলা, ১৬৩টি উপজেলা, ৪৯টি পৌরসভা ও ৯৬১টি ইউনিয়ন। এছাড়া আট হাজার ২০০ হেক্টর ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বন্যাকবলিতদের পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণসামগ্রী দেওয়া হয়েছে। আক্রান্ত সবাই ত্রাণ চান না। বেশিরভাগই বাঁধ ও রাস্তা নির্মাণ এবং দুর্যোগ সহনীয় বাংলাদেশ চান। যারা ত্রাণ চান, তারা দরিদ্র। তাদের ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে। কাজেই বন্যায় সবাই ত্রাণ পান না, এমন অভিযোগ সঠিক নয়।’
এনামুর রহমান বলেন, ‘পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী মজুত আছে। আল্লাহ না করুক, বন্যা যদি দীর্ঘায়িতও হয়, ভয়ের কোনও কারণ নেই।’

সংবাদ সম্মেলনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার আরিফুজ্জামান ভূইয়া জানান, পানি কমতে শুরু করেছে। এই মুহূর্তে ১৩টি পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে পানি বইছে। এসব পয়েন্টে পানি ১-২৭ সেন্টিমিটার ওপরে রয়েছে। গতকাল ১৭টি ও তার আগের দিন ২১টি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ওপরে ছিল। গাইবান্ধা ও জামালপুরের পানি নামতে আরও দুই-তিন দিন সময় লাগবে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বড় ধরনের বন্যার কোনও সম্ভাবনা নেই।
এ সময় আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ জানান, ভারী বৃষ্টিপাত কমতে শুরু করেছে। আগামী ১০ দিন ভারী বৃষ্টিপাত হবে না, মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হবে। আসাম, নেপাল, মেঘালয় থেকে পানি আসার সম্ভাবনা কম। তাই অনবরত বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে।