দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি মহামারি না, স্বাভাবিকও না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

01স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘দেশে ডেঙ্গুর বর্তমান পরিস্থিতিকে মহামারি বলবো না, স্বাভাবিকও বলবো না। তবে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।’ বুধবার (৭ আগস্ট) মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগ বিষয়ে বৈজ্ঞানিক সেমিনারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন প্রমুখ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মশা মারার দায়িত্ব আমাদের না। যখন কোনও মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসবে তাদের চিকিৎসার দায়িত্ব আমাদের। এজন্য সবাইকে নিজ অবস্থানে থেকে যার যার দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত বছর আমরা ১০ হাজার ডেঙ্গু রোগী পেয়েছিলাম। চলতি বছরে সরকারি হিসেবে ৩০ হাজার মানুষ চিকিৎসা নিয়েছেন। রোগীর সংখ্যা আরও বাড়লে তাদের সেবা দেওয়ার জন্য আমরা চারটি হাসপাতাল প্রস্তুত করছি। একটি হচ্ছে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট। এখানে এক হাজার বেড প্রস্তুত আছে। অপরদিকে মহাখালীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট, পঙ্গু হাসপাতালের নতুন পাঁচশ’ বেডের যে ভবন হচ্ছে সেটা এবং সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের বর্ধিত ভবন।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘ঈদের সময় রোগীদের সেবা দিতে সবার ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলবে। এছাড়া বেসরকারি হাসপাতালগুলোকেও অনুরোধ করবো তারা যেন সেবা কমিয়ে না দেন।’
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘এ পর্যন্ত ১২৮টি দেশের মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। কোনও কোনও দেশে ২৫ হাজার পর্যন্ত মানুষ মারা গিয়েছে। ডেঙ্গু একটি বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে।’
মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক আমিন আহমেদ খান সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘ডেঙ্গু রোগ কতদিন পর্যন্ত স্থায়ী হবে জানি না। সাধারণত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই অবস্থা অব্যাহত থাকে।’
অনুষ্ঠানে ডেঙ্গুর কারণ ও রোগীদের ম্যানেজমেন্ট নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) রিউম্যাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক।