সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত

আবহাওয়া অধিদফতর ভবনউত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং সমুদ্রবন্দরের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন সেন্টারের মঙ্গলবারের (১৩ আগস্ট) প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। আবহাওয়া অধিদফতরও এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এছাড়া টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা, যশোর, কুষ্টিয়া অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে তা মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। ফলে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারীবর্ষণ হতে পারে। দেশের সব নদ-নদীর পানি বিপদসীমার নিচে রয়েছে।

বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণ

সরকার গত ১ জুলাই থেকে মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) পর্যন্ত বন্যাদুর্গত বিভিন্ন জেলায় ২৮ হাজার ৬৫০ মে. টন চাল, ৪ কোটি ৯৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ১ লাখ ১৮ হাজার কার্টন শুকনো খাবার, ৮ হাজার ৫০০ সেট তাঁবু, ৫৪ হাজার ৭০০ বান্ডিল ঢেউটিন, গৃহনির্মাণে ১৬ কোটি ৪১ লাখ টাকা, শিশুখাদ্য ক্রয়ে ১৮ লাখ টাকা এবং গোখাদ্য ক্রয়ে ২৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।